The news is by your side.

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে যা বললেন ইনু

0 368

 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ৷

নতুন ইসি গঠনে দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নেওয়ার অংশ হিসেবে ইনুর জাসদ রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পায়।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার পর বঙ্গভবনে যান জাসদের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে রাষ্ট্রপতিতে এই প্রস্তাব দেন জাসদ নেতারা।

ইনু ছাড়া প্রতিনিধি দলে আরও যারা ছিলেন, তারা হলেন- জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখতার, মোশাররফ হোসেন ও রেজাউল করিম তানসেন।

বিকাল সোয়া ৫টায় জাসদ নেতারা বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় আমরা সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ইসি গঠন নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছেন বলে আমরা তাকে (রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ) সাধুবাদ জানিয়েছি। এ পদ্ধতিটা নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অংশগ্রহণমূলক হবে এবং এইটা গ্রহণযোগ্য দক্ষ নির্বাচন কমিশন উপহার দিতে সাহায্য হবে। আর দ্বিতীয় কথা, আমরা যেটি বলেছি যে সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী একটি আইনি কাঠামো না থাকায় তুলনামূলকভাবে একটি অনুসন্ধান কমিটির মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগটা ভালো।

জাসদের এ নেতা বলেন, তিন নম্বর কথা বলেছি, পাঁচ বছর পর পর এ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়, তা থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতি যেন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে একটা আইনি কাঠামো তৈরি করার জন্য উনি যেন সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা দেন। তারপর আমরা বলেছি সার্চ কমিটি ও অনুসন্ধান কমিটি সাংবিধানিক সংস্থা থেকে হওয়ায় বাঞ্ছনীয়।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক, সেহেতু সংবিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উনি একটা ভূমিকা রাখতে পারেন। আইন সংসদই করবে, সরকারই করবে, কিন্তু ওনাকে ভূমিকা রাখতে বলেছি। সরকারকে পরামর্শ দিতে বলেছি, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নে যেন সরকার উদ্যোগ নেয়। রাষ্ট্রপতি এই উদ্যোগ নেওয়ার এখতিয়ার রাখেন। আমরা মনে করি, সব মহলকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করে দেবেন।

ইসি গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সঙ্গে আলোচনায় বসতে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। এর আগে গত সোমবার জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাসদ ছাড়াও ক্ষমতাসীন ১৪ দলের আরও দুই শরিক সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এই দুই দল যথাক্রমে ২৬ ও ২৮ তারিখ বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবে।

রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.