The news is by your side.

ম্যাডোনা: ক্যামেরায় উন্মুক্ত স্তনযুগল, হাতে ওয়াইন গ্লাস

0 159

 

 

ম্যাডোনা, ৬৪ বছর বয়সেও অগ্নিশিখা! নিরাবরণ ছবিতে ফের ঝড় তুললেন আমেরিকার পপ-তারকা ম্যাডোনা।

ঊর্ধ্বাঙ্গে সুতোটিও নেই। সামনে ঝুঁকে পড়ে যখন ক্যামেরায় পোজ দিলেন উন্মুক্ত স্তনযুগল তখন একেবারে সামনে। স্তনবৃন্ত অবশ্য কৌশলে ঢেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল শনিবার। এক দিকের স্তনবৃন্তে ডলার চিহ্ন, অন্য দিকে ক্যান্ডি দিয়ে আড়াল করে ভাইরাল হলেন বর্ষীয়ান গায়িকা। তবে বয়স তো শুধু সংখ্যা! চেহারা কিংবা জীবনযাত্রায় বয়সের প্রভাব যে না-ও পড়তে পারে তা বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন ম্যাডোনা। যদিও বিতর্ক এ বারও পিছু ছাড়ল না।

ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, “আমার স্বীকারোক্তি দেওয়ার রয়েছে।” কী বলতে চান ‘হাং আপ’ গায়িকা?

দেখা যায়, ছবির উপরে লিখেছেন, “আই ওয়াজ় নট সারকামসাইজ়ড।’’ সেই দেখেই জল্পনা শুরু। কিন্তু এর অর্থ কী হতে পারে? উচ্চবিত্ত খ্রিস্টান সমাজে তো শিশুকন্যার যোনিছেদনের রীতি নেই। কী বলতে চাইলেন ম্যাডোনা? দুইয়ে দুইয়ে চার করলেন অনুরাগীরাই। চলতি মাসের শুরুতে নিজেকে সমকামী বলে ঘোষণা করেছিলেন গায়িকা।

ইনস্টাগ্রামে ৩টি ছবি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। উন্মুক্ত বুকের সামনে নেল আর্ট করা হাতে ওয়াইন গ্লাস ধরে প্রথম ছবি। দ্বিতীয় ছবিতে একফালি স্কার্ট পরা গায়িকা, হাত দু’টি তুলে মাথায় রেখেছেন। বক্ষসম্পদ উপচে পড়ছে আবেদনে। তৃতীয় ছবিতে সামনে ঝুঁকে গায়িকা। সমাজ, লৌকিকতার পরোয়া ছিল না তাঁর কোনও দিনই। প্রায় ৪০ বছরের পেশাদার জীবনে মঞ্চে উঠে কোটি দর্শকের হৃদয় জিতে নিয়েছেন ম্যাডোনা। অনুরাগীদের কাছে তিনি ‘সম্রাজ্ঞী’।

বেপরোয়া স্বভাবের নারীর শত্রুও যে কম থাকবে না এতে আর আশ্চর্য কী! কয়েক মাস আগেই ‘অশ্লীলতা’-র দায়ে লাইভ শো স্ট্রিমিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গায়িকার। শনিবারের ‘শার্টলেস’ ছবিতে আবারও সমাজমাধ্যমে নগ্নতা প্রদর্শনের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ইনস্টাগ্রাম থেকে তাঁর উপর চাপানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞাও।

ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লক্ষ। শিল্পী জানিয়েছেন, ভক্তদের উদ্দেশে সরাসরি ভিডিয়ো সম্প্রচার করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর উপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।

গোটা বিষয়ে নিজের অসন্তোষ চেপে রাখেননি তিনি। বিরক্তি প্রকাশ করে ম্যাডোনা জানান, গোটা ঘটনায় তিনি বাক্‌রুদ্ধ। বেশি পোশাক তিনি কোনও কালেই পরেননি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, সমাজমাধ্যমটির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলাও হচ্ছে না যে ঠিক কোন পোস্টের জেরে এমন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হল তাঁকে।

৯ অক্টোবর ম্যাডোনার আর এক স্বীকারোক্তি হতভম্ব করে দিয়েছিল মানুষকে। টিকটক ভিডিয়োতে জানিয়েছিলেন, তিনি সমকামী।

নিজেকে শুধু গানে আটকে রাখেননি ম্যাডোনা। প্রায় চব্বিশটা সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। টম হ্যাঙ্কসের সঙ্গে ‘আ লিগ অব দেয়ার ওন’, ডাস্টিন হফম্যানের সঙ্গে ‘ডিক ট্রেসি’।

অবশ্যই ‘বডি অফ এভিডেন্স’। ‘এভিটা’ ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করে গোল্ডেন গ্লোব-ও পেয়েছিলেন। তবে ২০০২-এর পর আর তাঁকে প্রধান কোনও চরিত্রে দেখা যায়নি। শেষ ছবিতে সমালোচকদের বিরূপ সমালোচনা নাকি মেনে নিতে পারেননি ম্যাডোনা।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.