The news is by your side.

ভারত থেকে আসা অধিকাংশ পেঁয়াজই পচা

0 500

 

এলসির বিপরীতে আটকে পড়া পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (পাঁচ দিন পর) আটকে পড়া সেই ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজের বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। এরফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা করছেন।

শনিবার বেলা ১১টায় সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয় বলে  নিশ্চিত করেছেন শুল্ক স্টেশনের সহকারী কাস্টমস কমিশনার সাইফুর রহমান।

সাইফুর রহমান জানান, বিকেল পর্যন্ত ৮টি ট্রাকে ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এবিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি তৌফিুকর রহমান বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে খোলা এলসির বিপরীতে আটকে পড়া পেঁয়াজ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। সেই আটকে পড়া ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজই মূলত আমদানি হয়েছে।

এদিকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের অধিকাংশ পেঁয়াজই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এরফলে ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আমদানিকারকরা জানান, গতকাল শনিবার ভারত হতে যে পেঁয়াজগুলো আমদানি হয়েছে সেগুলোর গুনগত মান নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পরতে হচ্ছে তাদের। প্রতি বছর ভারত সরকার কোনও একটি অজুহাত দেখিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে আমদানিকারকরা কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েন।

তারা আরও জানান, আজ নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের বস্তাগুলো ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। একটু ভালো মানের পেঁয়াজগুলো প্রকারভেদে ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টানা পাঁচদিন আটকে থাকার পর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অবশেষে বাংলাদেশে ঢোকে নিষেধাজ্ঞার আগে এলসি করা ও এলসির বিপরীতে টেন্ডার করা ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক। এতে আমদানিকারকদের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের মাঝেও স্বস্তির ছাপ পড়ে। তবে হিলি স্থলবন্দরে মাত্র ১১টি ট্রাক আসার পরই বন্ধ হয়ে যায় এই কার্যক্রম। ওপারে কী পরিমাণ গাড়ি আটকা পড়েছে বন্দর সংশ্লিষ্ট কেউই তার সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। এমনকি আগামীকাল পেঁয়াজ আমদানি হবে কিনা সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.