ব্রাজিলে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
বলসোনারো অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি ভিডিও পোস্ট করার কয়েকদিন পর দেশটির কংগ্রেস, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
প্রসিকিউটররা বলছেন, বলসোনারো এই ধরনের দাবি করে অপরাধকে উসকে দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) তারা সাবেক প্রেসিডেন্টকে তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
আট জানুয়ারির দাঙ্গার জন্য সম্ভাব্য দায়ীদের মধ্যে এই প্রথমবার বলসোনারোর নাম দেওয়া হলো।
বলসোনারো তার ভিডিওতে দাবি করেছিলেন, লুলা দা সিলভা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। বরং ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ লুলাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন। অবশ্য পরে বলসোনারো ভিডিওটি ডিলিট করে দেন। তবে ব্রাজিলের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয় বলেছে, এই ভিডিও বলসোনারোর উসকানিমূলক কার্যক্রমের একটি নজির হিসেবে সাক্ষ্য দেবে।
এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় বলেছে, ‘বলসোনারো খোলাখুলিভাবে অপরাধ সংঘটিত করতে উসকানি দিয়ে থাকতে পারেন।’ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েস ঘোষণা দিয়েছেন, বলসোনারোর বিরুদ্ধেও তদন্ত চালানো হবে। প্রধান কৌঁসুলির অফিস বলেছে, তার বিরুদ্ধ দাঙ্গায় উসকানি দেয়া এবং বুদ্ধিবৃত্তিক মদদ জোগানোর অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
দাঙ্গার পরে পোস্ট করা ভিডিওটি পরে মুছে ফেলা হয়। তবে প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় যুক্তি দিয়েছে যে, এর বিষয়বস্তু বলসোনারোর আগের আচরণের তদন্ত করার জন্য যথেষ্ট।
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দে মোরেস বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাপুরুষতার সাথে ষড়যন্ত্র করে যারা একটি ব্যতিক্রম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে চলেছেন তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে’।
এদিকে, পেটে ব্যথা নিয়ে বলসোনারোকে ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
লুলার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি জমান তিনি।