The news is by your side.

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমল

0 167

 

চাহিদা কমার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে একটি মন্দার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে কমছে জ্বালানি তেলের দাম। একদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমাদানিকারক দেশ চীনের চাহিদা কমে যাওয়ার তথ্য প্রকাশ, অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক কোম্পানি সৌদি অ্যারামকো তেলের উৎপাদন বাড়াতে প্রস্তুত থাকার ঘোষণা দেওয়ায় দাম কমছে তেলের। খবর রয়টার্সের।

সোমবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ১৪ ডলার বা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে হয়েছে ৯৭ দশমিক ০১ ডলার। এর আগে শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর প্রতি ব্যারেল এখন ৯১ দশমিক ০৩ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ০৬ ডলার বা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। শুক্রবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে।

বিশ্লেষকরা জানান, অপ্রত্যাশিতভাবে গত জুলাইয়ে চীনের অর্থনীতির গতি কমেছিল। গত জুলাই মাসে চীনের তেল আমদানি এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ৯.৫ শতাংশ। অপর দিকে চীনের দৈনিক পরিশোধিত তেল উৎপাদন কমে হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল।  ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর চীনের অর্থনীতির গতি ও পরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন এতটা কমেনি।

মুডিস অ্যানালিটিকস নামের একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ হেরোন লিন বলেছেন, ‘চীন সরকারের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জ্বালানি তেলের দামের রেকর্ড হওয়ার কারণে চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রভাব এবং ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।’

এদিকে সৌদি অ্যারামকোও তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত এই তেল কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, সৌদি সরকার অনুরোধ করলে প্রতিদিন সর্বোচ্চ উৎপাদন সক্ষমতা ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

আমিন নাসের আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করার সক্ষমতা রাখি। যদি সৌদি সরকার বা আমাদের জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে তেলের উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়, তাহলে আমরা দৈনিক সর্বোচ্চ পরিমাণ তেল উৎপাদনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান যদি ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বহাল করে, তাহলে বাজারে আরও তেল আসবে। কারণ ওয়াশিংটন ও তেহরনের ওই চুক্তি আবার পুনর্বহাল হলে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির জেরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তেলের চাহিদা কমবে এমন আশঙ্কাতেও দাম পড়ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের তেলের মজুদও বেড়েছে। এর ফলে রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার ফলে তেলের দাম যেটুকু বেড়েছিল তা আবারও আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.