The news is by your side.

বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয় 

0 146

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ সহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে।

ভারত  ২২ মে ২০২২ তারিখ থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে।

এই মূল্য বাংলাদেশী টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্টোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের  মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য রি-এডজাস্টমেন্ট করবে সরকার।

বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।

জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার এখন কেমন?

বিপিসি’র ব্রেক ইভেন অর্থ আন্তর্জাতিক বাজারে যদি ডিজেল প্রতি ব্যারেল ৭৪.০৪ মাঃ ডঃ এবং অকটেন প্রতি ব্যারেল ৮৪.৮৪ ডলারে নেমে আসে তবে ডিজেল ও অকটেন প্রতি লিটার যথাক্রমে ৮০.০০ টাকা ও ৮৯.০০ টাকায় অর্থাৎ আগের (৫ আগস্ট ২০২২) মূল্যে বিক্রয় করা সম্ভব হত যা এখন প্রায় অসম্ভব।

একইভাবে ক্রুড অয়েল এর মূল্য জুন’২২ মাসে ব্যারেল প্রতি ১১৭ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে যা এখনও অব্যাহত আছে।

সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নাই। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে  অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জ্বালানী তেলের মূল্য এডজাস্টমেন্টে যেতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।

এশিয়ার অনান্য দেশ যেমন :

নেপালে ডিজেল ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়া ১৩৮, সিঙ্গাপুর ১৮৯ টাকা, চীন ১১৮ টাকা, আরব আমিরাত ১২২.৮০ টাকা ও হংকং এ ২৬০ টাকা।

অন্যান্য দেশ অনেক আগেই তাদের জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে , আর বাংলাদেশ সরকার ভর্তুকি দিয়ে এসেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করেছে।

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে  অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জ্বালানী তেলের মূল্য এডজাস্টমেন্টে যেতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের  মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য রি-এডজাস্টমেন্ট করবে সরকার।

বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।

বর্তমানে, আন্তর্জাতিক  তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েছে সরকার ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.