The news is by your side.

‘বাখমুতে তীব্র লড়াই, প্রতিটি নিঃশ্বাসেই আতঙ্ক’

0 100

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনেস্কের শিল্প শহর বাখমুত নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে একটা ভয়াবহ লড়াই হচ্ছে ইউক্রেনীয় ও রুশ সেনাদের। রুশ বাহিনীর তীব্র হামলা সত্ত্বেও গত কয়েকদিন ধরে বাখমুতের ফ্রন্টলাইন ধরে রেখেছে কিয়েভের সেনারা। এদিকে শহরের আটকা পড়া বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে কিয়েভ।

বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা ইউক্রেনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা দেশটির সেনাদের লড়াই দেখেই বোঝা যাচ্ছে। রুশ বাহিনীর চোখে চোখ রেখে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আকাশে কামানর আলোর ঝলকানি আর থেমে থেমে বিকট বিস্ফোরণ। প্রতিটি নিঃশ্বাসেই আতঙ্ক। বাখমুত রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে, শনিবার ৪ মার্চ এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। যদিও একে গুজব অ্যাখা দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের উপ-কমান্ডার ভলোদিমির নাজারেনকো শনিবার দাবি করেন, রুশ বাহিনীর মারাত্মক হামলা এবং চলমান আক্রমণ সত্ত্বেও ইউক্রেনীয় সেনারা গত ফ্রন্ট লাইন ছাড়েনি।

সোবোদা ব্যাটালিয়নের নাজারেনকো ‘কিয়েভ২৪’ সম্প্রচারমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেন, রুশ বাহিনী এখনও বাখমুতকা নদী অতিক্রম করতে পারেনি। শহরের কেন্দ্র ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে।

পরিস্থিতি কোনও দিকে এগোচ্ছে, এ নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন দেখা যায় তাকে। বলেন, বাখমুতের প্রতিটি ঘণ্টা নরকের মতো। শত্রুরা এক সপ্তাহ আগে বাখমুতের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমে অগ্রগতি লাভ করে। তবে আমাদের সেনারা ছেড়ে কথা বলেনি। পাল্টা জবাব দিচ্ছে। কিছু দিন ধরে আমাদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টার ফলে ফ্রন্ট লাইন এখন স্থিতিশীল।

বাখমুতের দক্ষিণ-পশ্চিমের ইভানিভস্ক গ্রামের দিকেও লড়াই তীব্র হয়েছে। সেখানকার প্রধান সড়কগুলোও নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বলে দাবি করেন তিনি।

যুদ্ধ শুরুর আগে বাখমুতের জনসংখ্যা ছিল ৭০ হাজার। এখনকার শহরটি যেনও আগের সেই বাখমুতের খোলস। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেনস্কা প্রাভদার তথ্য অনুসার, বাখমুতের বেশির ভাগ মানুষ পালিয়েছেন। যারা আটকা পড়েছেন, তাদের সন্ধান চালাচ্ছে কিয়েভের সেনারা। সব জায়গায় সংঘর্ষ চলায় বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার নিরাপদ রাস্তা খুঁজছে তারা।

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.