বিজেপি একটি আসন পাবে না পশ্চিমবঙ্গে। সর্বভারতে ক্ষমতাসীনদের আসন একশোও ছাড়াবে না। আর বাংলার ৪২টি আসন নিয়ে বাংলাই এবার ভারতের সরকার গঠনে থাকবে ভূমিকা। এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা ভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে একথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, ‘এবার সরকার গড়বে বাংলা। বাংলা স্বাধীনতার মাটি, পথ দেখানোর মাটি। বাংলাই পথ দেখাবে। বাংলার ৪২টি আসন নিয়ে ভারতে সরকার গঠন করবে। একটাও পাবে না বিজেপি। ছিল ২টা। কোথা থেকে পাবে ১০টা। ওদের যতই নম্বর দিন, মানুষ ওদের নম্বর জিরো করবে। মানুষের মুখচোখ দেখে বুঝতে পারছি, কী হতে চলেছে।’
মমতার দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। একশোই পার করবে না। গোহারা হারবে। মোদীর চেয়ার টদিল্লিতে সরকার গঠনে ভূমিকা রাখলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না মমতা। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলায় কাজ করে সন্তুষ্ট। এই কাজটাই করে যাব। বাংলা ভারতের কেন্দ্রবিন্দু হবে এটাই চাই। হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিষ্ট্রান বলবে এবার মোদীর বিদায়।
ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে এটা কি অসম লড়াই নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘কী করব? মিডিয়া বিক্রি হয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলিকে ওরা কিনে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ আমি। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলি। মানুষের মুখ জোর করে বন্ধ করা যায় না। কাউকে না কাউকে প্রতিবাদ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে মমতা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ কাজ করুক। বিজেপি যা বলছে, তাই করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সাক্ষাৎকারে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে অবস্থা খারাপ। তাই সাত দফায় ভোট করাচ্ছি। অনুজ শর্মা, জ্ঞানবন্তের মতো দক্ষ অফিসারকে বদলে দিল কমিশন। বীরভূম ও ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারকে বদলে দিয়েছে। আমার দল থেকে যাওয়া একটা গাদ্দার যাই বলছে তাই করছে কমিশন।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে কেন সরানো হবে? কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিবকে পরিবর্তন করতে বলুন। সত্যিই দরকার থাকলে পরিবর্তন করা যেত। রাজ্য সরকারকে ওদের বলা দরকার ছিল, তিনজনের প্যানেল দিক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, কোটি কোটি টাকা উড়ছে। সেই টাকাগুলি যাতে ধরতে না পারে যাতে গাদ্দারদের ধরতে না পারে, তাই পুলিশ অফিসারদের বদলে দিল। মানুষকে বলব, যেখানেই টাকা-পয়সা বিলি হবে ছবি তুলে পাঠান।