The news is by your side.

 ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ রাতটি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার

0 85

ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কারের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ফিফা দ্যা বেস্টের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমা। ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার হিসেবে মেসির নাম ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হয় সে আনুষ্ঠানিকতাও। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক, কোচ, সাংবাদিক আর সমর্থকদের ভোটে ফিফার ২০২২ সালের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

সোমবার রাতে দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডসের বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়, বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী কোচ, বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী গোলকিপার এবং বর্ষসেরা গোল ও সেরা ফ্যান, এই ৮ ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। এরমধ্যে চারটি পুরস্কার জিতে রাতটি নিজেদের করে নিয়েছে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা। মেসির পাশাপাশি নিজেদের বিভাগে বেস্ট হয়েছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি, গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও বেস্ট ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন আর্জেন্টাইন কার্লোস পাসকুয়াল।

সোমবার রাতে পুরস্কার নেয়ার শুরুটা হয় স্কালোনির হাত ধরে নয়। প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে পুরস্কারটি পান তিনি। অবশ্য বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার নেয়ার আগে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা কোচের দায়িত্ব নিশ্চিত করেন তিনি। এ পুরস্কার জয়ের পথে ৪৪ বছর বয়সী কোচ রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ও ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাকে পেছনে ফেলেন।

এরপর দ্বিতীয় আর্জেন্টাইন হিসেবে পুরস্কারটি পান বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পুরস্কার জয়ের পর আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। চোখ ভিজিয়ে স্মরণ করেন, পরিবার, আর্জেন্টিনার মানুষ, বাবা-মা ও স্কালোনিকে। তিনি বলেন, স্কালোনি আমাকে আার্জেন্টিনার হয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন। সবাই জানতে চায় আমার আদর্শ কারা। বাবা-মাকে ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করতে দেখেছি। তারাই আমার আদর্শ।

এরপর তৃতীয় অ্যাওয়ার্ডটি দেয়া হয় বর্ষসেরা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড এর। যেটি নিতে মঞ্চে আসেন ৮২ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কার্লোস পাসকুয়াল। ড্রাম ও আর্জেন্টিনার জার্সি পরে মঞ্চে উঠেছিলেন ১৯৭৪ থেকে কোনো বিশ্বকাপ মিস না করা এই সমর্থক।

আর্জেন্টিনার হয়ে সবশেষ পুরস্কারটি হাতে নেন লিওনেল মেসি। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর কাছ থেকে ট্রফিটা নিয়ে এলএমটেন ধন্যবাদ জানিয়েছেন সতীর্থদের। ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্কালোনিকেও। স্মরণ করেছেন পরিবার ও সন্তানদের।

বাকি চার বিভাগের মাঝে বর্ষসেরা নারী গোলরক্ষকের পুরস্কার উঠেছে ইংল্যান্ডের ইউরো জয়ী মেরি আর্পসের। ওই দলের কোচ সারিনা ভিগমান জিতেছেন বর্ষসেরা নারী গোলরক্ষকের পুরস্কার।

সেরা গোলের ‘পুসকাস অ্যাওয়ার্ডে’ দ্য বেষ্ট হয়েছেন মারচিন ওলেকসি এবং এবারও নারীদের বর্ষসেরা ‘বেস্ট’ জিতেছেন স্পেন ও বার্সেলোনার তারকা অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস।

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.