কুষ্টিয়ায় হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। চালকল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের বাজার অস্থির বলে অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের।
জানা গেছে, গেল সাত দিনে হঠাৎ করে কুষ্টিয়ার বাজারে প্রায় সব রকম চালের দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা। মিনিকেট চাউল গেল সপ্তাহে ছিল ৩৯-৪০ টাকা কেজি, বর্তমান কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়ে ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজললতা চাউল গেল সপ্তাহে ছিল ৩৪ টাকা কেজি, বর্তমান কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়ে ৩৯-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাউল গত সপ্তাহে ছিল ২৮ টাকা কেজি, বর্তমান কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়ে ৩১-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কুষ্টিয়া পৌর বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা রোকন জানান, ধান ও চালের আগাম দাম নির্ধারণের সঙ্গে সঙ্গেই ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইচ্ছেমতো চালের দাম বাড়াচ্ছেন চালকল মালিকরা।
এদিকে হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। অতিদ্রুত বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে চালের বাজার সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি তাদের। চালের ক্রেতা রিকশাচালক আলম হোসেন জানান, কিভাবে বাচঁব, চাল আর পেঁয়াজ কিনতে গেলেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই দুইটাই প্রয়োজনমতো কিনতে পারছি না, অন্যকিছু কিভাবে কিনব।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর। এই মোকাম থেকেই ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন কয়েকশ ট্রাক চাউল সরবরাহ করা হয়।
লিয়াকত রাইচ মিল এর স্বত্বাধিকারী মো. লিয়াকত আলী বলেন, হঠাৎ করে ধানের দাম বৃদ্ধির কারণে চালের বাজার কিছুটা বেড়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের কোনও সিন্ডিকেট নেই। খুচরা বাজারে যে হারে চাউলের দাম বেড়েছে সেই হারে দাম বাড়েনি খাজানগর চাউলের মোকামে। এটা খুচরা ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। তারা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছে।
কুষ্টিয়ায় খাজানগরসহ জেলায় ৩৩টি বৃহৎ এগ্রো অটো রাইস মিলসহ ছোট-বড় প্রায় ৬০০ রাইস মিল গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি ধান সেদ্ধ-শুকানোসহ নানা প্রক্রিয়ার জন্য চাতালও রয়েছে দুই সহস্রাধিক। তাই চাল তৈরির এ জেলায় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ এর বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসন ও বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা। মনিটরিং এর মাধ্যমে চালের বাজার এখনই নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে আশা সবার।