পিবিআই প্রধান বনজ কুমারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
এ ছাড়া কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে করা আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রোববার মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আবেদন খারিজ করে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের চট্টগ্রাম মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা বাবুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী ৮ সেপ্টেম্বর ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদনটি করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, গত বছরের ১০ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বাবুলকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে রেখে নির্যাতন করা হয়। হেফাজতে বাবুলকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা।
বাবুল আক্তার নির্যাতনের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন করেছিলেন তারা হলেন- পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআই মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, পিবিআই তৎকালীন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, পরিদর্শক এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নিতে বাবুলের করা আবেদনটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। কারণ, ঘটনার এক বছর পর বাবুল দাবি করছেন, তাঁকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে।’
ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্ত্রী হত্যায় বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। মামলাটি ভিন্ন খাতে নিতে তিনি মিথ্যা আবেদন করেছেন।
বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।