জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার দায়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এর মধ্যে এক বছর পুরোপুরি নিষিদ্ধ, আর বাকি এক বছরের সাজা স্থগিত।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ও ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে নিজের ক্ষোভ ঝাড়লেন বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
পাপন অধীর আগ্রহে আইসিসির দেওয়া সাকিবের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন বলে টুইট করেছেন তিনি। এর আগে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে উল্লেখ করেন পাপন। তখনও বিসিবি সভাপতির সমালোচনা করেন সাবেক এই সভাপতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকটি টুইটে পাপনের এক হাত নিয়েছেন সাবের। গত ২২ অক্টোবর সাকিবদের ধর্মঘটের পর সংবাদ সম্মেলনে ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন পাপন। সে ভিডিওটি শেয়ার করে বিসিবি সভাপতি পাপনকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে সাবের লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, বিসিবি সবকিছুই জানত। অথচ পাপন সাহেব বলেছেন তিনি কিছু আন্দাজই করতে পারেননি। এটা সত্য নয়। দুঃখ লাগলেও এটাই বলতে হচ্ছে। ২২ অক্টোবরের ভিডিও ক্লিপটায় মনে হয়েছে, পাপন সাহেব আইসিসির ঘোষণার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন।’
আরেক টুইটে সাবের হোসেন চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভণ্ডামি, নিকৃষ্টতর দ্বৈত চরিত্র। বিসিবি আইসিসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবেগ দেখিয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটের দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করে ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটাকে আরও উৎসাহিত করছে বিসিবি। লজ্জাজনক।’
সাবের হোসেন চৌধুরীর তৃতীয় টুইটেও ছিল বিসিবির কড়া সমালোচনা। বিসিবির সাবেক এই সভাপতি লেখেন, ‘কেউ অপরাধ করলে, তার সুবিচার প্রাপ্য। বিসিবি অন্তত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করতে পারত। দুঃখ হলো বোর্ড সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি। অযথা মায়াকান্না দেখাচ্ছে।’