The news is by your side.

পশু পাখির ঘর থাকলেও আমাদের নিজস্ব কোন ঘর নেই!

রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার আকুতি

0 192

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি

গণহত্যা দিবসে স্বদেশে ফেরার আকুতি ও মোনাজাত  জানিয়ে উখিয়া- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গণহত্যা দিবস পালন করেছে রোহিঙ্গারা।

রাখাইনে ভয়াবহ সহিংস ঘটনার ৫ম বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রোহিঙ্গারা এই দিবস পালন করছেন।  দিবসটি উপলক্ষে উখিয়া কুতুপালং  লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খোলা মাঠে  এই সমাবেশ ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এতে  রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ক্যাম্পে শিশুদের হাতে হাতে নিজ দেশ মিয়ানমারের পতাকা ও  ফেস্টুনে  দেখা যায় যেখানে  লেখা we want justice, we want to back home. রোহিঙ্গা শিশুরা বলছেন, তারা নিজের দেশে ফিরে যেতে  চায় , সেখানে খেলতে চায় , পড়তে চায় ।

আবদুল্লাহ নামক এক রোহিঙ্গা শিশু বলেন,সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরতে চাই আমরা। এদেশের মানুষ যে পরিমাণ আমাদের ভালোবাসা দিয়েছে সেটা আমরা কোনদিন ভুলতে পারবো না। বাংলাদেশে থাকার মত এটা জায়গা না।আমরা নিজ দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চাই।আজ এই সমাবেশ থেকে আমরা নিজ দেশে ফিরতে প্রতিবাদ করছি।

উম্মে সালমা বিবি ভিশন নিউজ ২৪ কে  জানান, আমাদেরও স্বপ্ন নিজ দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে মুক্ত বাতাস খেতে। পশু পাখির ঘর থাকলেও আমাদের নিজস্ব কোন ঘর নেই।

তবে রোহিঙ্গা নেতারা মনে করেন, প্রত্যাবাসন থমকে গেছে। কারণ মিয়ানমার তাদের ফেরত নিতে চায় না। মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে জোরালোভাবে।

রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার জুবায়ের  ভিশন নিউজ ২৪কে  , দিনটি আমাদের জন্য একটি কালো দিন। মিয়ানমার বাহিনী ২০১৭ সালের এই দিনে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর জুলুম-নির্যাতনের চালিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। সেদিন তারা অনেক মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছিল। অসংখ্য মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়া করা হয়। আমরা এক কঠিন অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছি।

রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার নুরুল আমিন ভিশন নিউজ ২৪ কে বলেন, দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে আমরা উদবাস্তু, বাংলাদেশ আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা যুগযুগ ধরে এখানে অবস্থান করে বাংলাদেশের বোঝা হতে চাই না।

আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি জানাই, যেন রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যেগ নেওয়া হয়।

সমাবেশ শেষে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.