The news is by your side.

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

0 616

 

কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী বুধবার বিকাল ৫টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে এই রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এই নির্দেশ দেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সম্মতিক্রমে তাকে উন্নত চিকিৎসা (অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট) দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে। এ বিষয়ে খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কিনা, দিলে চিকিৎসা শুরু হয়েছে কিনা, চিকিৎসা শুরু হলে খালেদা জিয়ার শরীরের সর্বশেষ অবস্থা বুধবার বিকালের মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে হবে।

কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তা কার্যতালিকায় আসবে।

শুনানিতে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় ‘মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। জামিন পেলে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান।

আবেদনকারীর (খালেদা জিয়ার) শারীরিক অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না, খেতে পারছেন না। এমনকি ওষুধও নিতে পারছেন না। তাই দ্রুত তাকে যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশে নিয়ে আধুনিক, উন্নত চিকিৎসা বা থেরাপি দেয়া প্রয়োজন। তার এই অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আধুনিক উন্নত থেরাপি বা চিকিৎসার স্বার্থে নতুন করে জামিন আবেদনটি করা হয়েছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় মোট ১৭ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দল ও পরিবারের সদস্যরা তাকে অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলেও তাতে অনুমতি মেলেনি।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিনের জন্য এর আগেও হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু অপরাধের গুরুত্ব, সংশ্লিষ্ট আইনের সর্বোচ্চ সাজা এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত- এ তিন বিবেচনায় হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩১ জুলাই সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এরপর আপিল বিভাগে গিয়েও ফল পাননি। ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.