The news is by your side.

ক্যাসিনো-কাণ্ড অনুসন্ধানে ২২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা 

0 887

 

ক্যাসিনো-কাণ্ডে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ২২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার এ সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

দুদক ২২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, দুদকের এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান দলের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এ চিঠি পাঠিয়েছেন।

দুদক সূত্র বলছে, অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কমিশনের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তারা দেশত্যাগ করলে দুদকের এই অনুসন্ধান কার্যকম ব্যাহত হবে। ফলে অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য তারা যেন দেশে থাকেন, সে কারণেই তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

যাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনের পাশাপাশি অনুসন্ধান চলমান থাকা ব্যক্তিদের নামও রয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে।

যাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে ভোলা ৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চট্টগ্রামের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী আছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূইয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম (ফিরোজ), অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের (মিজান) বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও তাঁর ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিছুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমান, লোকমান হোসেন ভূইয়ার স্ত্রী নাবিলা লোকমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই , ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের বিদেশযাত্রায়।

এ ছাড়া এনামুল হকের সহযোগী ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ (আজাদ রহমান), রাজধানীর কাকরাইলের জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাকির হোসেন ও সেগুনবাগিচার শফিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শফিকুল ইসলামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাবে তাদের সবারই বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। আগামী কয়েক দিনে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন আরও অনেকে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে। পরে আরও দুজনকে দলে যুক্ত করা হয়। অনুসন্ধান দলের সদস্যরা গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.