অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডের সুরক্ষা ব্যবস্থায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে বেশ কিছু বছর ধরে। সব থেকে বেশি হ্যাক হয় মূলত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলগুলি। বর্তমানে সেই কারণেই প্রতিনিয়ত সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট হচ্ছে প্রত্যেকটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে। আসছে বিভিন্ন ফিচার, যেমন প্লে প্রোটেক্ট ইত্যাদি। এ ছাড়াও গুগল বিভিন্ন ভাইরাস আক্রান্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলি ডাউনলোড করারসুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও মোবাইলে ভাইরাস ঢুকে পড়ে। গুগল প্লে স্টোরে প্রচুর অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। সেইগুলি ভাইরাসের আক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, ডিভাইসগুলো প্রথম থেকেই কোনও না কোনও ভাইরাস বা ম্যালওয়ার দ্বারা আক্রান্ত। সে রকম হলে আমরা কী করে বুঝব?
এই রকম ম্যালওয়ার আক্রান্ত ডিভাইসগুলো বোঝার সহজ উপায় হল, যখন আপনি অযাচিত প্রচুর বিজ্ঞাপন দেখবেন, বারবার ডেটা এরর হতে দেখবেন, কিংবা ডিভাইসটি হঠাৎ করে আগের চেয়ে ধীরে চলতে দেখবেন, বা দেখবেন, খুব তাড়াতাড়ি ডিভাইসের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন বুঝবেন আপনার ফোন কোনও ভাবে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এই ক্ষেত্রে সাধারণত অযাচিত অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে যায়, ম্যালওয়ার, রামসনওয়ার ঢুকে যায় ডিভাইসে। সে ক্ষেত্রে কী করলে আপনার ডিভাইসটি থেকে ভাইরাস মুক্ত করা যাবে সেই উপায়গুলি রইল আপনাদের জন্য-
১.আপনার স্মার্টফোনটি সুইচ অফ করুন এবং সাউন্ড বাটন এবং অফ বাটন এক সঙ্গে প্রেস করে ফোন রিবুট করুন।
২. রিবুট অপশন খুললে সেইখানে রিস্টার্ট বাটন প্রেস করুন, যাতে এই সময় ফোনে কোনও রকম ক্ষতি না হয়।
৩. রিস্টার্ট হয়ে গেলে সেটিংস অপশনে যান এবং অ্যাপ অপশনে যান।
৪. আপনি যা অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন, সেইগুলো একবার দেখে নিন। কোনও রকম অযাচিত অ্যাপ দেখলে সেইটাতে ক্লিক করুন।
৫. এরপর এই অযাচিত অ্যাপটি আন ইনস্টল করুন।
৬. যদি আন ইনস্টল বাটনটি না থাকে, তা হলে প্রথমে অ্যাপটি থেকে ‘অ্যাডমিন অ্যাক্সেস’ প্রত্যাহার করতে হবে। এরপর আবার সেটিংস থেকে সিকিউরিটি অপশনে গিয়ে ডিভাইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটরঅপশনে গিয়ে যে অ্যাপগুলি অযাচিত, সেইগুলো সিলেক্ট করে আন ইনস্টল করুন।
৭. এইবার ফোনটি আবার রিস্টার্ট করুন। কিন্তু মাথায় রাখবেন এইবার কিন্তু নরমাল মোডে রিস্টার্ট করতে হবে।
৮. যদি উপরের পদ্ধতিতে কোনও কাজ না হয়, সে ক্ষেত্রে সেটিংস অপশনে গিয়ে- সিস্টেম – রিসেট অপশন – ইরেস অল ডেটা অপশন সিলেক্ট করতে হবে।