৮ই জুন মালাডে বহুতলের ১৪ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের। মৃত্যুর কিছু সময় আগেও পার্টি করছিলেন দিশা। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে অনেকেই দেখে ফেলেছেন।
দিশার অ-স্বাভাবিক মৃত্যুর পর মুম্বাই পুলিশ দিশার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে কেস বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সেভাবে সরব হননি দিশার মা-বাবা। এর পিছনে কি কি কারণ থাকতে পারে? এদিকে দিশার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যায় তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং তাঁর মাথায় গভীর ক্ষতর চিহ্ন পাওয়া যায়।
যেদিন দিশা মারা যায় তখন সময় ছিল রাত ২ টো। অর্থাৎ ৯ জুন রাত ২টোর সময় মারা যান দিশা। মারা যাওয়ার সময় দিশা উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাগদত্তা রোহন রায়ের ফ্ল্যাটে। সেই ফ্ল্যাটেই চলছিল হাউস পার্টি। দিশার মৃত্যুর ২ দিন পর তাঁর শরীরের ময়না তদন্ত হয়। মুম্বাই পুলিশ কোন রকম ভাবেই এই মৃত্যুর তলায় গিয়ে তদন্ত করেনি বরং আত্মহত্যা বলে কেস বন্ধ করে দেয় এবং পরবর্তীতে বলা হয় বাড়ির ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, তিনি ৮ জুন রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দিশার ফ্ল্যাটে পৌঁছন। এক ঘণ্টা পর্যন্ত পার্টি ভালো ভাবেই চলে। এরপর একটি ঘরে চলে যান দিশা। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। সেই ঘরের শব্দ যাতে বাইরে না যায়, তার জন্য জোরে গান চালিয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, সিবিআই-এর জেরায় সিদ্ধার্থ পিঠানি জানিয়েছিলেন, দিশার মৃত্যুর খবর পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত। তিনি ভয় পেতে শুরু করেছিলেন। এবং ৯ জুন দিদি মীতু সিংকে মেসেজ করেন সুশান্ত। সেখানে তিনি স্পষ্ট লিখেছিলেন, “কেউ তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি ভয় পাচ্ছেন, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে!” এখন প্রশ্ন হল ওঁরা কারা? সুশান্ত কি তবে কিছু আন্দাজ করতে পেরেছিলেন? টাইমস নাও-এর একটি প্রতিবেদনের সুত্র ধরে, দিশার মৃত্যুর পর রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু রিয়া চক্রবর্তী ততক্ষণে সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে গিয়েছেন, ফোন নাম্বারও ব্লক করে দিয়েছেন। জানা যায়, রিয়াকে ফোনে না পেয়ে রিয়ার ভাই সৌভিককেও ফোন করেন সুশান্ত, কিন্তু রিয়ার সঙ্গে তাঁর আর কথা বলা হয় না!