অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামনে আসছে নতুন নতুন তথ্য। তুনিশার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রায়া লাবিব শেজান খানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন।
রায়া লাবিব বলেন— ‘হতাশা থেকে মেয়েরা মনোবিদের কাছে গেলেও তা প্রকাশ করে না। ভালোবাসা ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য অনেক নারীকে ব্যবহার করেছে শেজান খান। একই সঙ্গে ৬-১০ জন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেত। আর প্রত্যেক নারীর সঙ্গে শেজান প্রতারণা করেছে।’
‘শেজান সুদর্শন হওয়ায় সহজেই মেয়েরা তার প্রেমে পড়ে যেত। আর এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রেমের নামে মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতো শেজান। আর মোহ কেটে গেলেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেত। তুনিশার সঙ্গেও এমনটাই করেছে সে।
এসব তথ্য জানার পর একাধিক সম্পর্কের বিষয়ে শেজানকে প্রশ্ন করে তুনিশা। আর তখন শেজান বলে, তোমার সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তুনিশা।’ বলেন রায়া লাবিব।
রায়া লাবিবের ধারণা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তুনিশা। তা উল্লেখ করে রায়া লাবিব বলেন, ‘খুব সম্ভবত তুনিশা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল এবং ওষুধ খেয়ে অ্যাবরশন করিয়েছে। যার কারণে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে তুনিশা কোনো বিষয়ে খুবই চিন্তিত ছিল। তুনিশা পাগলের মতো ভালোবাসতো শেজানকে। আর ওকেই বিয়ে করতে চেয়েছিল।’
তুনিশার মৃত্যুর ১৪ দিন আগে ব্রেকআপ করে শেজান। ওই সময়ে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল তুনিশা। আর বিষয়টি তুনিশার মাকে জানিয়েছিলেন শেজান। তবে এর আগে তুনিশার আত্মহত্যার চেষ্টার তথ্যটি সত্য নয় বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
তুনিশার মা বনিতা শর্মার ভাষায়— ‘আগে থেকেই শেজান খান অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল; তারপরও তুনিশাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় সে। ৩-৪ মাস শেজান খান আমার মেয়েকে শুধু ব্যবহার করেছে। আর তারপর তুনিশার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেয়। আমি আমার সন্তানকে হারিয়েছি। আমি এই প্রতারকের শাস্তি চাই।’
তুনিশা তার সহশিল্পী শেজান খানের মেকআপ রুমে আত্মহত্যা করেন। শুটিংয়ের পর শেজান মেকআপ রুমে যাওয়ার পর দরজা বন্ধ থাকায় বেশ কয়েকবার চিৎকার করে তুনিশাকে ডাকেন। এরপর মেকআপ রুমের দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তুনিশাকে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।