ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না। এদিকে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইলন মাস্ক।
এ ঘটনায় দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ এটিকে পুঁজিবাদ ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের আদর্শ উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। কেউ বলছেন, মাস্ক চাইলে একাই শ্রীলঙ্কার সব ঋণ শোধ করে দিতে পারেন। কেউবা আরও একধাপ এগিয়ে শ্রীলঙ্কা কিনে নেওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন ইলন মাস্ককে।
শ্রীলঙ্কাকে চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে রক্ষা করতেই টুইটার ব্যবহারকারীরা এমন পরামর্শ দিচ্ছেন। ‘ইলন মাস্ক, কিছু কিনতে চাইলে শ্রীলঙ্কা কিনুন। টুইটারকে একা ছেড়ে দিন’- এ রকম একটি টুইট ভেসে বেড়াচ্ছে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি জুড়ে।
নীলু ফিশারম্যান নামে আরেকজন লিখেছেন, ইলন মাস্ক কেন শ্রীলঙ্কা কিনে নিচ্ছেন না? তিনি তো এটিকে তার মহাকাশ অভিযানের একটি ঘাঁটি বানাতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভাবে নানাজন নানাভাবে তাকে শ্রীলঙ্কা কিনে নিয়ে ‘সিলন মাস্ক’ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলেছেন।
১৪ মার্চ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের ৯ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এ জন্য তিনি বিনিয়োগ করেন ২৮৯ কোটি ডলার। সাড়ে সাত কোটি শেয়ার কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির পরিচালনা পর্ষদে (বোর্ড) আসতে চেয়েছিলেন মাস্ক। কিন্তু সম্প্রতি সে বিবেচনা থেকে সরে এসে ৪ হাজার ৩০০ কোটি (৪৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারে টুইটারকে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। আর এতেই নড়চড়ে বসেছে টুইটারের বর্তমান পর্ষদ। তারা ইলন মাস্কের টুইটার কেনার ঘোষণার পর এ অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া ঠেকাতে ‘পয়জন পিল’ নীতি গ্রহণ করেছে।
পয়জন পিল নীতির মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারধারীদের শেয়ারের পরিমাণ সীমিত রাখা হয়। আর এ নীতিই কার্যকর করছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ফলে এখন থেকে কেউ টুইটারের ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক হতে পারবেন না।
বর্তমান নিয়মে মাস্ক টুইটার কিনতে না পারলে ‘প্ল্যান বি’ প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে। তবে সেই পরিকল্পনা কী তা তিনি জানাননি।