প্রায় আড়াই সপ্তাহ হয়েছে তাঁর নতুন ছবি ‘লাইগার’ মুক্তি পেয়েছে। তাতে বক্স অফিসে উষ্ণতা ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন তো কী! ইটালির নীল জলের পাশে ছুটি কাটাতে গিয়ে দেদার উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন অনন্যা পাণ্ডে। সে সব ছবিই নেটমাধ্যমে মেলে ধরেছেন চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা।
ইনস্টাগ্রামে আবার খোলামেলা অবতারে দেখা গিয়েছে অনন্যাকে। কখনও তিনি সমুদ্রছোঁয়া বিলাসী বোটে রোদ পোহাচ্ছেন। কখনও বা সাঁতার-পোশাকে নীল জলে অগাধে ডুব দিয়েছেন। ডুব-খেলা শেষে নিজেকে শুকিয়ে নিয়েছেন সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে। প্রাকৃতিক গুহার অন্দরে গিয়েও গা ভাসিয়েছেন জলে। প্রায় প্রতিটি ছবিতেই অনন্যাকে ছুঁয়ে গিয়েছে রোদের কিরণ।
প্রকৃতির কোলেই নিজেকে যেন আপন করে নিয়েছেন বছর তেইশের নায়িকা। সেই মতোই সেজে উঠেছেন তিনি। রুপোলি পর্দার বাইরে এসে নামমাত্র রূপটানের ছোঁয়া তাঁর চোখেমুখে। ঠোঁটে গোলাপি রঙের আভামাত্র। তবে অঙ্গে হালকা গয়নাও চাপিয়েছেন। ‘ইভিল আই’ থিমের গয়নায় তা সহজেই নজর কাড়ছে। এক বার তো লেবু-লঙ্কার নেকলেসেও মেলে ধরেছেন নিজেকে।
ইটালির কোথায় ছুটি কাটাচ্ছেন ‘লাইগারের’ নায়িকা? সে কথা অবশ্য এ সব ছবিতে খোলসা করেননি। তবে ইনস্টাগ্রামের একগুচ্ছ ছবির নীচে একটি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বোট ডে!!!! নীল গুহায় সাঁতার কাটলাম, হৃদয়ের আকারের গুহা দেখলাম। আর ‘সুরজ কি বাহোঁ মে’ লুপে চালিয়ে রাখলাম।’ হ্যাঁ
অনন্যার ছুটির গল্পের সংক্ষিপ্ত অংশ দেখে মন ভরে গিয়েছে তাঁর ভক্তদের। তাঁর একটি পোস্ট তো সাড়ে ছ’লক্ষের কাছাকাছি অনুরাগীর মন কেড়ে নিয়েছে। হবে না-ই বা কেন? গাঢ় সবুজে সাঁতার পোশাকে অনন্যার এ হেন রূপ তো আর বড়পর্দায় সহজে চোখে পড়ে না! অথচ দেখুন, বিজয় দেবরকোন্ডার সঙ্গে জুড়িদার হয়েও তিনি ‘লাইগার’-কে বাঁচাতে পারেননি। এমনকি, বক্সিংয়ের প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মাইক টাইসনের চমকদার উপস্থিতিও দশর্কের মনে ধরেনি। তবে এ সবে যেন ‘কুছ পরোয়া নেই’ অনন্যার। তিনি ভেসে বেড়াচ্ছেন ইটালির নীল জলে।