The news is by your side.

আবার আসাম সফর বাতিল করলেন নরেন্দ্র মোদি

0 518

 

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভের জেরে আসাম সফর বাতিল করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১০ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে তার সফরের কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসাম সফরে যাচ্ছেন না।

এদিন ‘খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস ২০২০’ এর উদ্বোধন করার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু মোদি আসাম সফরে আসতে পারেন এই খবর পেয়েই বিক্ষোভের ঘোষণা করেছিল অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন(আসু)।

আসু আগাম হুমকি দিয়ে রেখেছিল, প্রধানমন্ত্রী আসাম এলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হবে। দেখানো হবে কালো পতাকা। এরপর অশান্ত আসাম এড়িয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি।

নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পরে এনিয়ে গত একমাসে দুবার আসাম সফর বাতিল করলেন  মোদী।

সরকারিভাবে সফর বাতিল করার কথা জানানো না হলেও ‘খেলো ইন্ডিয়া গেমস’-এর সিইও অবিনাশ জোশী জানিয়েছেন, তাদের আমন্ত্রণের কোনও আনুষ্ঠানিক জবাব এখনও আসেনি।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণলায় এবং আসাম সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর তরফে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তিনি ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে পারবেন না।

আসামের বিজেপি মুখপাত্র দেওয়ান ধ্রুবজ্যোতি মারাল সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘তার (মোদির) সফর বাতিল হয়েছে। রাজ্য সরকার তাকে অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু, তিনি সময় দিতে পারবেন না।’

এদিকে ১১ এবং ১২ই জানুয়ারি কলকাতায় দুদিনের সরকারি সফরে আসার কথা  মোদীর। বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

তবে কলকাতায় তাকে ঢুকতেই বাধা দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা করেছে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকারীরা।

কলকাতা বিমানবন্দর এবং ধর্মতলায় বহু মানুষকে কালো পতাকা হাতে জমায়েত হওয়ার জন্য ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে আহ্বান জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

‘নো এন আর সি মুভমেন্ট’-এর তরফে সুতপা চক্রবর্তী বলছিলেন, “আমরা কোনও মতেই প্রধানমন্ত্রীকে শহরে ঢুকতে দেব না। বিমানবন্দরের কাছে কৈখালিতে বহু মানুষ জড়ো হব দুপুর থেকে। আর তার যেহেতু রাজভবনে থাকার কথা, তাই একই সময়ে ধর্মতলা এলাকাতেও বড় জমায়েত হবে।”

“তার সরকার এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তো এসেছে, তবে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদগুলোকে যেভাবে তার সরকার দমন করছে নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তার প্রেক্ষিতে বাংলায় কোনোভাবে উনাকে ঢুকতে দেব না। এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ,” বলছিলেন সুতপা চক্রবর্তী।

অন্যান্য কিছু সংগঠনও ১১ তারিখ সকাল থেকেই ধর্মতলায় জড়ো হওয়ার কথা বলছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.