আন্তর্জাতিক বাজারে এক বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে জ্বালানি তেলের দাম। চীনে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে বিশ্ব বাজারে এই প্রভাব পড়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারির শুরু থেকে প্রথমবারের মতো ব্রেন্ট ক্রুড (অপরিশোধিত) জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমে ব্যারেল প্রতি ৮১ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে। কারণ ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করেছিলেন যে, চীনের অস্থিরতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে।
নিসান সিকিউরিটিজের গবেষণা মহাব্যবস্থাপক হিরোইউকি কিকুকাওয়া বলেছেন, চীনে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, একই সঙ্গে সাংহাইতে বিধিনিষেধ-বিরোধী বিক্ষোভ তেলের বাজারে প্রভাব ফেলেছে। তেলের চাহিদা নিয়ে একধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডব্লিউটিআইর তেলের দাম ৭০ থেকে ৭৫ ডলারে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ওপেক প্লাসের আসন্ন বৈঠকের ফলাফল ও রাশিয়ার তেলের ওপর জি-৭ এর মূল্য নির্ধারণের ওপর নির্ভর করে বাজার অস্থির থাকতে পারে। ইমোরি ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ইনকরপোরেটেডের সিইও তেতসু ইমোরি বলেন, ‘চীনে চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ায় এবং তেল উৎপাদনকারীদের উৎপাদন নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে।’
তিনি বলেন, পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা (ওপেক) যদি না উৎপাদন কোটা আরও কমানোর বিষয়ে একমত হয় বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ পুনরায় লোড করতে না যায়, তবে তেলের দাম আরও নিচের দিকে যেতে পারে।
পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা (ওপেক) এবং রাশিয়াসহ তার সহযোগীরা, ওপেক প্লাস নামে পরিচিত। আগামী ৪ ডিসেম্বর বৈঠক হবে ওপেক প্লাসের।
গত অক্টোবরে ওপেক প্লাস ২০২৩ সাল পর্যন্ত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রতিদিন ২ মিলিয়ন ব্যারেল কমাতে সম্মত হয়।