তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকারি দলের নয়। বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য অবাধ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা।
শুক্রবার দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুরপাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘নির্বাচনের একবছর পূর্বে বিদেশিদের আনাগোনা বৃদ্ধি’ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচন বর্জন করে কিংবা প্রতিহতের অপচেষ্টা চালায় তাহলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক না করা কিংবা অগ্রহণযোগ্য করার দায়-দায়িত্ব তাদের’।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রদূতদের সাথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার যে বৈঠক হয়েছে সেখানে নানা বিষয়ের মধ্যে একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি যে, একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক এবং বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক সেটিই আমরা চাই। অন্য বিদেশি সংস্থাগুলোকেও আমরা সেটি জানাচ্ছি।’
বিদেশিদের প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী আরো বলেন, জিডিপির বিচারে ২৫টি দেশকে পেছনে ফেলে গত ১৪ বছরে আমরা জিডিপিতে ৬০তম থেকে ৩৫তম এবং পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছি। আগামী কয়েক বছরে দেশের ক্রম আরো ওপরে উঠবে। বাংলাদেশ এখন ‘ইকোনোমিকালি ইমার্জিং টাইগার’, সেজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। সেই আগ্রহ থেকেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন অর্থলগ্নিকারী ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের আনাগোনা অতীতের তুলনায় বেড়েছে।’
যে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা, বাজার বড় এবং ক্রম সম্প্রসারমান, সেখানে অন্যান্য দেশের আগ্রহ বাড়বে এটা খুব স্বাভাবিক এবং সে কারণেই তাদের আনাগোনা, আসা-যাওয়া বেড়েছে, বলেন হাছান মাহমুদ।
- Design