জ্যাকলিন চক্রান্তের শিকার– দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী। বুধবার ২১৫ কোটি আর্থিক তছরুপ মামলার চার্জশিটে অভিযুক্তদের তালিকায় জ্যাকলিনের নাম উল্লেখ করে ইডি। পরেরদিনই অভিনেত্রীর আইনজীবী বলেন, ‘এই মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত পূর্ণ সহযোগিতা করছেন জ্যাকলিন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যতবার তাঁকে ডাকা হয়েছে, প্রতিবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তের স্বার্থে সবধরনের তথ্য তদন্তকারীদের জানিয়েছেন জ্যাকলিন। কিন্তু তিনি যে প্রতারিত, তা মানতে নারাজ আধিকারিকরা। জ্যাকলিন একটা বড়সড় অপরাধমূলক চক্রান্তের শিকার।‘
২০০ কোটি আর্থিক তছরুপ মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্কের কথা আগেই জানিয়েছিল ইডি। তদন্তের পর ইডির তরফে জানা গিয়েছে, তোলাবাজির টাকা দিয়েই জ্যাকলিনের মন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সুকেশ। তোলাবাজির ২০০ কোটি টাকা থেকে কোটি টাকার উপহার জ্যাকলিন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ৭.১২ কোটি টাকা জ্যাকলিনের নামে ফিক্সড ডিপোজিট এবং ১৫ লক্ষ টাকা এক চিত্রনাট্যকারকে জ্যাকলিনের হয়ে সুকেশ দিয়েছিলেন।
ইডির দাবি, ২০০ কোটি টাকা চুরির পরেই তার থেকে ৫.৭১ কোটির সম্পদ জ্যাকলিনকে উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। তাছাড়াও জ্যাকলিনের পরিবারের জন্য ১,৭৩,০০০ মার্কিন ডলার খরচ করেছেন সুকেশ। এছাড়াও দামি গাড়ি, ৯ লক্ষের বিড়াল, ৫২ লক্ষের ঘোড়া, দামি পাথরের গয়নাও জ্যাকলিনকে উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। ইডির কথায়, এই সম্পদের অর্থ বেআইনি পথে উপার্জন করেছেন সুকেশ। তাই জ্যাকলিনের ৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।