লেখক সালমান রুশদিকে ভেন্টিলেশনের বাইরে নেওয়া হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন। সালমান রুশদি এখন স্থিতিশীল রয়েছেন। তবে,তার একটি চোখ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।’
সালমান রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে সালমান রুশদির ওপর এ হামলা চালানো হয়।
হাদি মাতার নামের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও তার জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিউইয়র্ক রাজ্যের চৌতাউকা কাউন্টির প্রসিকিউটর জানিয়েছেন।রবিবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় একটি শিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে রুশদির ওপর হামলা এবং একজন সাক্ষাৎকারকারীকে আক্রমণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে মাতারের বিরুদ্ধে।
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার কারণে বহু বছর ধরেই হত্যার হুমকি পেয়ে আসছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সালমান রুশদি। হামলার পর তার অবস্থা জানা যায়নি।
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটিকে বহু মুসলিম ধর্ম অবমাননাকারী বলে মনে করে থাকে। বইটি ১৯৮৮ সালে ইরানে নিষিদ্ধ হয়। এর এক বছর পর ইরানের প্রয়াত নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি রুশদিকে হত্যার ফতোয়া দেন। তার মাথার মূল্য ৩০ লাখ ডলার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সালমান রুশদির যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার এই লেখক বেশ কয়েকবারই নিজের কাজের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।