আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রত্যেককে কথাবার্তা, আচার-আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। এ সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা সমীচীন নয়। ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠান্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
শনিবার দুপুরে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুনর্বাসন করেছিলেন জেনারেল জিয়া। খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। তার জন্য আইনও করেছিলেন তিনি। বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি আর তাদের সবার নাম আমাদের জানা নেই। কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে নারী, অবুঝ শিশু আর অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করা হয় না। কিন্তু ৭৫ এ তা করা হয়েছিলো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাস বলে, বিএনপি শত্রুতা করেছে আওয়ামী লীগের সাথে। বারবার বিভিন্ন সময়ে শত্রুতা করে চলেছে তারা।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “সারা বিশ্বের নেতিবাচক প্রভাব আজ বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে। আমরা জানি অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কস্ট অব লিভিং যেভাবে বেড়ে গেছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা ঠিক। গরিব মানুষ, প্রান্তিক মানুষ। কিন্তু আমাদের সামনে কোনো উপায় ছিল না।”
পশ্চিমা দেশগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, কেউই তো আজকে আরামে নেই। বাংলাদেশের জনগণ যাদের কষ্ট হচ্ছে, আপনাদের শুধু এটুকু বলবো, চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। শেখ হাসিনা; আজকে তার ঘুম নেই। আন্তরিকভাবে আপনাদের এই সংকট উত্তরণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। করোনাকালেও তিনি রাতে ঘুমাতে পারেননি। এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কীভাবে মানুষকে একটু আরাম দেওয়া যায়, স্বস্তি দেওয়া যায় সেটাই আমাদের নেত্রী করে যাচ্ছেন। তিনি মানুষকে স্বস্তি দিতে চান।
কাদের আরও বলেন, সঙ্কটের সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিরোধীরা সরকারকে সহযোগিতা করেছে। আমরাও বিরোধীদের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছে। কোনো শক্তির কাছে শেখ হাসিনা মাথানত করে না। আমাদের সমস্যা, সঙ্কট যা আছে, নিজেরাই মোকাবেলা করবো।