জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে অংশ নেন।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না– জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরই মধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসির (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) চেয়ারম্যান তো প্রেসে বিস্তারিত বলেছেনই। সেটি আজকে মন্ত্রিসভায় অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এগুলো নিয়ে ওনারা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এর মধ্যে আবার ব্যাখ্যা দেবেন। যেহেতু এটি কারিগরি বিষয়, তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে। তারা যে ব্রিফিং করেছে, সেটি যেন পুনরায় করা হয়। কিছুদিন পরপর যেন এটি করা হয়, সেটিও বলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এতে ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়।
একলাফে জ্বালানি তেলের দাম এত বাড়ার কারণে পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।