আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওয়াশিংটনকে একের পর এক হুশিয়ারি অব্যাহত রেখেছে চীন। এ উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলে একটি বিমানবাহী রণতরীসহ অন্তত ৪টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতের দিকে তাইওয়ানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে ন্যান্সি পেলোসির।
তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আশা করছেন পেলোসি এই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে এক রাত থাকবেন।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের পূর্ব দিকের উপকূলে একটি বিমানবাহী রণতরীসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগান দক্ষিণ চীন সাগর পাড়ি দিয়েছে এবং বর্তমানে ফিলিপাইন সাগরে, তাইওয়ান ও ফিলিপাইনের পূর্বে এবং জাপানের দক্ষিণে সেটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা।
এদিকে ন্যান্সির এই সফর ঘিরে দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ান লাগোয়া সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে চীন। তার সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মাঝে মঙ্গলবার সকালের দিকে দুটি যুদ্ধজাহাজ— একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী এবং অন্যটি গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের লানিউ দ্বীপের উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমার কাছে মোতায়েন রেখেছে চীন।
বিমান চলাচলের মানচিত্রে ন্যান্সি পেলোসিকে বহনকারী বিমানটি দক্ষিণ চীন সাগর এড়িয়ে যেতে পারে বলে দেখানো হয়েছে। বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ বিভিন্ন দ্বীপ ও সামুদ্রিক এলাকা নিয়ে প্রতিবেশি কয়েকটি দেশের মালিকানার দাবি রয়েছে। ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে বিতর্কিত এই সাগরে ও তাইওয়ানের আকাশসীমার কাছে ব্যাপক সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই সফর ঘিরে চীনের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে ভীত নয় ওয়াশিংটন।
চীন বলেছে, পেলোসির এই কাণ্ডের রাজনৈতিক ফল হবে ভয়াবহ। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিষ্কার বলেছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে চাই চীন প্রস্তুত এবং চীনের লিবারেশন আর্মিও অলস বসে থাকবে না। চীন তার সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত মর্যাদা রক্ষায় এর যথোপোযুক্ত জবাব দেবে।’