রাজধানীর বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের পর এফ আর টাওয়ার কিছুটা হেলে পড়েছে। ভবনের ভিতরে কলাম ও স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটির সংস্কার না করা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে না।
কমিটির সদস্য ও বুয়েটের শিক্ষক মেহেদী আহমেদ আনসারী সাংবাদিকদের জানান, দেশের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুযায়ী সংস্কার ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। ভবনে কলাম ও স্ল্যাব ভেঙেছে এবং এটি কিছুটা হেলেও পড়েছে। এই ভবন সংস্কারে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে।
তিন মাস লাগার কারণ ব্যাখ্যা করে বুয়েটের শিক্ষক বলেন, ভবনে জরুরি নির্গমন পথ ছিল খুবই অপ্রশস্ত। কেবল একটি ফ্লোরে ফায়ার ডোর ছিল। আরও বেশ কিছু জায়গায় ত্রুটি রয়েছে ভবনটিতে। এগুলো সংশোধন ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী জানান,পরিদর্শনে ভবনটির কংক্রিট ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অধ্যাপক, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও সচিব (উন্নয়ন) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত হন। আহত হন ৭০ জন। তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় শনিবার বনানী থানায় অবহেলা, অনিয়মের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করে অগ্নিকাণ্ড ঘটানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে এফআর টাওয়ারের জমি ও স্থাপনার একাংশের মালিক, প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক এবং বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলামসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই রাতেই ফারুক ও বারিধারার বাসা থেকে তাসভিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। পরে রবিবার মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।