২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের আয় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। মনোনয়ন ফরম ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ফরম বিক্রি বাড়ার কারণে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছে দলটি। তবে আয় বাড়লেও আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে কমেছে ব্যয়।
রোববার নির্বাচন কমিশন (ইসি) জমা দেওয়া দলটির আয়-ব্যয়ের হিসেব বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যাক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে দলটির আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বুড়ুয়া, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান এবং অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল।
২০২১ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা ও ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা।
২০২১ সালে মোট ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা। ২০২০ সালে ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা। সেই হিসেবে আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৯ টাকা ব্যয় কম হয়েছে।
ব্যয় কমার কারণ হিসেবে দলটি জানিয়েছে, ২০২০ সালে করোনাকালে দলীয় নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ পঞ্জিকা বছরে নগদ অর্থ বিতরণের পরিমাণ কম ছিল।
রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হয়। যা রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরপর তিন বছর কমিশনে আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে দলের নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।