এক দৃঢ়প্রত্যয়ী নায়িকার নাম-বিদ্যা সিনহা মিম। দেড় দশক আগে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় নিয়ে মিডিয়াতে তার যাত্রা শুরু।
সিনেমাতে তার অভিষেক হয় বরেণ্য কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র ও নাট্যপরিচালক হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। নাটকে তাকে প্রথম দেখা যায় মাহফুজ আহমেদ পরিচালিত ‘শেষের কবিতার পরের কবিতা’ নাটকে।
এতে মিমের বিপরীতে ছিলেন আদিল হোসেন নোবেল। আরও ছিলেন আরিফিন শুভ। প্রয়াত পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমাতে অভিনয় করে মিম প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
দীর্ঘ দেড় দশকে তিনি ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, ‘তারকাঁটা’, ‘পদ্মপাতার জল’, ‘জোনাকীর আলো’, ‘সুইটহার্ট’, ‘ভালোবাসা এমনই হয়’, ‘পাষাণ’, ‘সুলতান’, ‘ইয়েতি অভিযান’, ‘ব্ল্যাক’সহ আরও বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয় করেন। বহু বিজ্ঞাপন এবং নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করেও বিদ্যা সিনহা মিম এদেশের কোটি দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেছেন।
রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমায় অনন্যা চরিত্রে অভিনয় করে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ‘পরাণ’-এর জয়জয়কারের মধ্যদিয়ে এরই মধ্যে মিম বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করার জন্য সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির হাত থেকে তার বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে সনদ গ্রহণ করেন।
‘পরাণ’-এর জয়জয়কার, অন্যদিকে শিক্ষাজীবনের সাফল্যের সনদ গ্রহণ, ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করা— সব মিলিয়ে মিম তার জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়টা পার করছেন এখন। বিদ্যা সিনহা মিম ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন।