১১ বছর বয়সে এসেছিলেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে। এখানকার একাডেমিতে এক যুগ কাটিয়ে সময়ের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার এখন লুকাস হার্নান্দেস। বিশ্বকাপ জেতা ফ্রান্সের একাদশে প্রতিটি ম্যাচেই ছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই তারকা। মৌসুম শেষের আগে তাঁকে রেকর্ড ৮০ মিলিয়ন ইউরো বা ৬৮ মিলয়ন পাউন্ডে কিনে নিল বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান ঐতিহ্যবাহী দলটির এত বেশি টাকায় খেলোয়াড় কেনার ইতিহাস নেই আর। ২০১৭ সালে অলিম্পিক লিঁও থেকে করেন্তিন তোলিসোকে ৪১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড বা প্রায় ৫৩ মিলিয়ন ইউরোয় কেনাটা ছিল আগের রেকর্ড।
ট্রান্সফারের ইতিহাসে হার্নান্দেসের ৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডের অঙ্কটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ভার্জিল ফন ডাইককে ২০১৭ সালে সাউদাম্পটন থেকে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে লিভারপুলের কেনাটা ডিফেন্ডারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। অ্যাতলেতিকো ছেড়ে বায়ার্নে নাম লিখিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস লুকালেন না হার্নান্দেস, ‘আমার পুরো ক্যারিয়ারে এটা সবচেয়ে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। অ্যাতলেতিকো আমার কাছে অনেক কিছু, কারণ এখানেই বেড়ে উঠেছি আমি। কিন্তু এখন বায়ার্ন মিউনিখে নিতে চাই নতুন চ্যালেঞ্জ। সেখানে জিততে চাই সব কিছু।’
গত কয়েক বছরে এ নিয়ে ১০ ফরাসিকে কিনল বায়ার্ন। এ বছরের শুরুতে তারা কিনেছে বিশ্বকাপজয়ী আরেক তারকা বেনজামিন পাভার্দকে। তাঁর সঙ্গে হার্নান্দেস যোগ দেবেন আগামী ১ জুলাই। সেন্টার ব্যাক ও লেফট ব্যাক দুই পজিশনেই খেলতে পারেন বলে হার্নান্দেসকে পেয়ে খুশি বায়ার্নের স্পোর্টিং ডিরেক্টর হাসান সালিহহামিদজিক, ‘বিশ্বের সেরা ডিফেন্ডারকে নিতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি।’
এদিকে বার্সেলোনার সেরা একাদশে জায়গা না পাওয়া ম্যালকম ছাড়তে চান ক্লাব। এই ব্রাজিলিয়ানকে পেতে মুখিয়ে ইন্টার মিলান। তবে ম্যালকমকে কিনতে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। তাঁকে বার্সেলোনা কিনেছিল ৪১ মিলিয়ন ইউরোয় আর ইন্টারের কাছে দাম চেয়েছে ৭০ মিলিয়ন ইউরো। এক মৌসুমের ব্যবধানে ২৯ মিলিয়ন ইউরো লাভ হলে মন্দ কী! মার্কা