পারস্পরিক সমন্বয় আরও জোরদার করে ভারত-প্রশান্ত সাগরীয় অঞ্চলের সামগ্রিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে জোর সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টোকিয়োয় ‘কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ (কোয়াড)’ সম্মেলনে তাঁর বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে ছিল, মেলবন্ধন আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার। বললেন, ‘‘কোয়াড এখন আরও প্রভাবশালী।’’
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হালকা আলাপচারিতায় মাততে দেখা যায় মোদীকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে ওঠেন, ‘‘আপনাকে আবার সামনাসামনি দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে।’’
কোয়াড সদস্যদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থায়িত্বকে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। এই গোষ্ঠী এলাকার ‘মানুষের স্বার্থে শুভশক্তি’ হয়ে ওঠার পক্ষে সহায়ক। টোকিয়োয় কোয়াড সম্মেলনে মঙ্গলবার বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনে ভারত ছাড়াও জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা অংশ নিয়েছে।
২০১৭-য় ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা মিলে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৈরি হয় কোয়াড। মূলত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের এক তরফা আগ্রাসন মোকাবিলা উদ্দেশ্য হলেও, পরবর্তীতে কার্যপ্রণালী আরও ব্যাপ্তি পায়।
এই বর্ধিত উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই মঙ্গলবার নিজের হিন্দি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদী মনে করিয়ে দেন, ‘‘কোয়াড সদস্যরা পারস্পরিক সৌহার্দ্যকে ভিত্তি করে করোনা অতিমারির কঠিন সময়ের মধ্যেও টিকা-সরবরাহ থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন-সহ একাধিক ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য অর্জন করেছে।’’
এ নিয়ে চতুর্থবার কোয়াডের আসর বসল। তার মধ্যে গত বছর মার্চে প্রথম বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মিলিত হয়েছিলেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। গত বছরেরই সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটনে কোয়াড বৈঠকে প্রথম বার মুখোমুখি মিলিত হন এই চার দেশের প্রধানরা। এ বছর মার্চে আবার ভার্চুয়াল সাক্ষাৎ। তার পর এ বার জাপানের রাজধানীতে আবার এক মঞ্চে দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং আমেরিকার প্রেসি়ডেন্ট জো বাইডেন।