বলিউডে আত্মপ্রকাশ ‘জিসম ২’ ছবির হাত ধরে। তবে তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘বিগ বস’। বলিউডের মাটিতে পা দেওয়ার আগেই অবশ্য পর্ন তারকা হিসাবে তাঁর জনপ্রিয়তা কিছু কম ছিল না। তিনি করণজিৎ কৌর। চিনতে পারলেন না তো? চিনতে না পারাই স্বাভাবিক। কারণ করণজিৎকে তো সারা বিশ্ব চেনে সানি লিওনি নামে।
‘জিসম ২’-এর পর ‘জ্যাকপট’, ‘রাগিনি এমএমএস ২’ ছবিতে অভিনয় করার পর তিনি পর্ন-তারকার ভূমিকা থেকে ধীরে ধীরে অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। বলিউডে অভিনেত্রী হিসাবে নিজের জমি তৈরি করেন। ২০১৭ সালে শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘রইস’ ছবিতে একটি আইটেম গানে নাচতেও দেখা যায়।
বলিউডে পা দেওয়ার পর অতীতের পেশার জন্য কম কটূক্তি শুনতে হয়নি তাঁকে। তাঁর পোশাক পরা নিয়েও আক্রমণ করতে ছাড়েননি দেশবাসী। তবে সব সমালোচনাকে দূরে ঠেলে এখন তিনি বলিউডের প্রথম সারির সফল অভিনেত্রী। তিন সন্তানের মা। ১৩ মে ৪২-এ পা রেখেছেন। অথচ তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। তিনি যেন এখনও সেই অষ্টাদশী তরুণী।
সানির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দর্শকের কৌতূহলের অন্ত নেই। পর্দায় যতই উষ্ণতা ছড়ান, প্রাত্যহিক জীবনে সানি ঠিক কেমন, নিজেক সুস্থ-সচল, ফিট রাখতে কী কী নিয়ম মেনে চলেন, তা জানতে চান অনেকেই। এ বার তা এল প্রকাশ্যে। রইল সানির রোজের খাদ্যতালিকা।
সানি নিরামিষভোজী। আমিষ কোনও খাবার ছুঁয়েও দেখেন না। নিজেকে ফিট রাখতে সকাল থেকে রাত, স্বাস্থ্যকর খাবারেই ভরসা রাখেন।
সানি সকালে খান এক কাপ কালো কফি। শাকসব্জি দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ, ফলের রস এবং একটি বা দু’টি মরসুমি ফল। সানি লিওনির প্রিয় ফলের তালিকায় রয়েছে আপেল, আঙুর, সবেদা, পেয়ারা।
কখনও খুব কড়া ডায়েটে থাকেন না তিনি। যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই পছন্দ করেন। তাই দুপুরে খান বিভিন্ন সব্জি দিয়ে তৈরি এক থালা স্যালাড। স্যালাডকে সুস্বাদু করে তুলতে উপর থেকে ছড়িয়ে নেন বিটনুন, গোলমরিচ, অলিভ অয়েল, ভিনিগার। বিকেলে হঠাৎ খিদে পেলে অভিনেত্রী বেছে নেন পপকর্ন। কখনও বা সন্ধ্যার জলখাবারে অল্প মাখন দিয়ে সেঁকে নেওয়া আলুর পরোটা। মিষ্টি খেতেও অসম্ভব ভালবাসেন তিনি। পেশাগত কারণে সব সময়ে মিষ্টি খেতে পারেন না। তবে সুযোগ পেলেই স্বাদ নেন কেক, পেষ্ট্রির। বিশেষ করে জার-কেক তাঁর অন্যতম পছন্দের খাবার।
শরীরচর্চার প্রতিও অত্যন্ত সচেতন সানি। নিয়ম করে জিমে যান। টানা ৩-৪ ঘণ্টা সেখানেই কাটান। কোনও দিন যদি ভাজাভুজি বা তেল-মশলা জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ফেলেন, তা হলে পরের দিন জিমের সময় আরও ২-৩ ঘণ্টা বাড়িয়ে দেন।