পদ্মা বহুমুখী সেতুর জন্য যানবাহনের শ্রেণি ও টোল হার চূড়ান্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
টোল হারে মোটরসাইকেলের টোল ১০০ টাকা, কার ও জিপ ৭৫০ টাকা, পিকআপ এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস এক হাজার ৩০০ টাকা। ৩১ বা এর কম আসনবিশিষ্ট বাসের জন্য ১ হাজার ৪০০ টাকা, ৩২ বা এর বেশি আসনবিশিষ্ট বাসের জন্য ২ হাজার টাকা এবং ৩ এক্সেলবিশিষ্ট বাসের জন্য ২ হাজার ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ৫ টন পর্যন্ত ছোট ট্রাকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, ৫ টনের অধিক থেকে ৮ টন পর্যন্ত মাঝারি ট্রাকে ২ হাজার ১০০ টাকা, ৮ টনের অধিক থেকে ১১ টন পর্যন্ত মাঝারি ট্রাকে ২ হাজার ৮০০ টাকা, ৩ এক্সেল পর্যন্ত ট্রাকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৪ এক্সেল পর্যন্ত ট্রেইলারে ৬ হাজার টাকা। এ আদেশ পদ্মা বহুমুখী সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার দিন থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ কেউ কেউ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ বলে বেড়াচ্ছেন। এত অধৈর্য হবেন না। সারসংক্ষেপ যাচ্ছে। চূড়ান্ত তারিখ দেবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা সেতু বিভাগ থেকে সারসংক্ষেপ পাঠাচ্ছি, দিনক্ষণ ঠিক করার জন্য। ইনশাআল্লাহ আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হবে। জুনেই পদ্মাসেতু চালু করা হবে।’
এ সময় তিনি পদ্মা সেতুর নামকরণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নাম ছাড়া পদ্মা সেতু; এটা তাকে অসম্মান করা হবে। কিন্তু তিনি চান না। শেখ রেহানা চান না। তারা বলেন—পদ্মা সেতু পদ্মা সেতু হিসেবেই থাকবে। এই পদ্মা সেতুর নাম সারা জাতি শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করতে চায়। আমিও প্রস্তাব দিয়েছি। সারা বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব এসেছে। সর্বস্তরের মানুষ প্রস্তাব করেছে, পদ্মা সেতু হচ্ছে শেখ হাসিনার সাহসের সোনালি ফসল। এ কারণে পদ্মা সেতুর নাম শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু। এই দাবি আজও আমরা করছি।’