ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও এর মিত্ররা রাশিয়ার বিপক্ষে অবস্থা নিয়েছে। ভিন্ন পথে হেঁটেছে চীন। তারা রাশিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ২৩তম চীন-ইইউ বৈঠকেও বেইজিংয়ের অবস্থান পাল্টাতে পারেনি ইইউ নেতারা।
ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে মিলিত হয় ইইউ ও চীনের নেতারা। এসময় রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের কথা বলা হয় বেইজিংকে। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বৈঠকে ইইউ নেতারা জোর দিয়েছিলেন যে, রাশিয়াকে আর্থিক এবং সামরিকভাবে সহায়তা করার জন্য চীনের যে কোনো প্রচেষ্টার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক থাকবে। সেইসঙ্গে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সাথে কথা বলার জন্য শি-কে আহ্বান জানান তারা।
এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে ইইউ-কে বেইজিংয়ের প্রতি একটি স্বাধীন নীতি গ্রহণের আহ্বান জানান চীনা প্রেসিডেন্ট। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা। ইউরোপে রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ বোঝার গুরুত্ব উল্লেখ করা।
চলমান সংঘাতের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে ন্যাটোর দিকেই ইঙ্গিত করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানান, ন্যাটো স্নায়ুযুদ্ধের পণ্য হিসাবে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিলুপ্ত হওয়া উচিত ছিল। তিনি ইউক্রেন সংঘাতের সূচনাকারী এবং সবচেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন। বেইজিং মস্কোর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একে বিশ্ব অর্থনীতির অস্ত্রায়ন বলে অভিহিত করেছেন তিনি।