The news is by your side.

দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সংকট :  ঋণের বোঝা পাকিস্তানের কাঁধে

0 313

 

 

দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সংকট পাকিস্তানের প্রাথমিক সমস্যা। গত ৩ বছরে কোভিড করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেই আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপের পথে। ২০১৯ অর্থবর্ষে যেখানে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১.৯ শতাংশ, সেখানে ২০২০ অর্থবর্ষে তা আরও কমে চলে গিয়েছে ঋণাত্মক অবস্থানে। -১.৫ শতাংশ জিডিপি সংকোচন নিয়ে অচল অবস্থা হয় ইসলামাবাদের।

গত বছরের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ৫ জনের মধ্যে ৪ জন পাকিস্তানি অর্থাৎ ৮৩ শতাংশ মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে করোনার কারণে। তার উপর হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এই মুহূর্তে পাকিস্তানে পেট্রলের দাম লিটার প্রতি প্রায় ১৫০ পাকিস্তানির রুপি। হাই স্পিড ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪৪ রুপি। আর কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ রুপি প্রতি লিটারে। সব মিলিয়ে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। পাক অর্থনীতির বেহাল পরিস্থিতি বোঝা যায় সেদেশের মুদ্রার অবস্থা দেখলেই। এই মুহূর্তে ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি রুপির মূল্য ১৮৩ টাকা। যা বাংলাদেশের মুদ্রার দ্বিগুণেরও বেশি। ভারতীয় টাকার প্রায় আড়াই গুণ।

একাধিক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের মাথায় এই মুহূর্তে ১৩ হাজার কোটি  টাকার ঋণ রয়েছে। পাকিস্তান গত তিন দশকের কিছু বেশি সময়ে ১৩ বার আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে। এবং এর বেশিরভাগটাই শোধ করতে পারেনি। যার ফলে ‘অফ দ্য কোর্স’ বা ‘বিপথগামী’ অর্থনীতির রাষ্ট্রের তকমাও জুটেছে পাকিস্তানের নামে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.