চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় আটক স্বামী সাখাওয়াত আলিম নোবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতভর জেরার পরে দায় স্বীকার করে নোবেল।
এসপি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে তাঁর স্বামী হত্যার পর বন্ধুর সহায়তা নিয়ে লাশ গুমের চেষ্টা করে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গতকাল সোমবার শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তাঁর বন্ধু ফরহাদকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল দিবাগত রাত চারটার দিকে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ৩৪ গ্রীন রোড এলাকা থেকে তাঁদের দুজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হুন্দাইয়ের ছাই রঙের একটি ব্যক্তিগত গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত রোববার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে কোনো এক সময়ে শিমুকে হত্যা করা হয়। যে গাড়ি ব্যবহার করে শিমুর লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে, সে গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
শিমু ছিলেন রাজধানীর গ্রিনরোডের বাসিন্দা। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অভিনেত্রী শিমুর অভিভাবকরা নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন কলাবাগান থানায় । পরে জিডিসূত্রে অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে বস্তাবন্দি একটি লাশ উদ্ধার করে। শিমুর পরিবারের পক্ষ থেকে পরে লাশটিকে শনাক্ত করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে আছে।
কয়েক বছর ধরে একটি বেসরকারি টিভির মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন শিমু। টুকটাক নাটকে কাজ করতেন। পাশাপাশি তার নিজের নাটক নির্মাণের প্রোডাকশন হাউজ ছিল বলে জানা যায়।