প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-পিইসি ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা-জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। একইসঙ্গে, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা যে পৃথক বিভাজন ছিলো সেগুলো তুলে দেয়া হচ্ছে। এসব বিভাগের বদলে একটি সমন্বিত পাঠ্যক্রম আসছে এবং বাধ্যতামূলক কারিগরি বিষয় পড়তে হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপনের পর সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বিষয় ঠিক করা হয়েছে। সেগুলো সবাইকে পড়তে হবে। আর ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পড়তে হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে। অর্থাৎ নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন হলে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বিভাজন হবে উচ্চ মাধ্যমিকে। আর দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। এরপর দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সমাপনীর ফলাফল মিলিয়ে প্রকাশ করা হবে এইচএসসির চূড়ান্ত ফলাফল।
২০২৫ সাল থেকে এ শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়নে আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে। আগামী বছর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১০০টি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে। এরপর ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে শুরু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণি এবং ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।