বায়তুল মোকাররমে তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে তাণ্ডবের ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৭ নেতার নামে মামলা হয়। মামলার এজাহারে এক নম্বর ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে মামুনুল হককে।
তিনি বলেন, এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের অনেকের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তবে আমরা কোনো পদ বিবেচনায় নেব না। আমরা অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। মামলাটি গতকাল রাতে হয়েছে। এখনো প্রি-ম্যাচিউরড রয়েছে। আমরা আসামিদের প্রকৃত পরিচয়, তারা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে, ২৬ তারিখ তারা কোথায় ছিল, বায়তুল মোকাররমে সরাসরি উপস্থিত ছিল কি না, তারা নাশকতার নির্দেশ-উসকানি দিয়েছে কি না, হামলার অর্থদাতা বা মাস্টারমাইন্ড কি না তা শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, আমরা তদন্ত করব। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার অন্য ১৬ আসামি হলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দিন মনির, নায়েবে আমির মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নায়েবে আমির মাজেদুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা জসিম উদ্দিন।