আইপিএল খেলতে লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে থাকছেন না তিনি।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হবে আইপিএলের ১৪ তম আসর। আর আইপিএল খেলতে জাতীয় দলের হয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিতব্য টেস্ট সিরিজে খেলতে অনাগ্রহ জানিয়েছেন সাকিব। কারণ আইপিএল চলাকালে চলবে এ টেস্ট সিরিজ। এদিকে ওয়ানডে খেলতে মে মাসে ঢাকায় আসছে শ্রীলংকা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্র জানিয়েছে, আইপিএল খেলার জন্য শ্রীলংকা সিরিজ থেকে ছুটি চেয়েছেন সাকিব। সাকিবের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ক্রিকবাজকে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, সাকিব আমাদেরকে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে ছুটি চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। সে আইপিএল খেলতে চায়। আমরা তাকে অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। কারণ যার খেলার ইচ্ছা নেই তাকে পুশ করার কোনো অর্থ নেই। এ ছুটি মঞ্জুর করা অবশ্যই ভালো উদাহরণ নয় । কিন্তু যেটা বললাম, অনিচ্ছুক কাউকে আমরা খেলাতে চাই না।
বিসিবির অন্যতম এ পরিচালকের কথায়-ই বোঝা যাচ্ছে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের মতো শ্রীলংকা সিরিজের অনুপস্থিত থাকছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
অবশ্য ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সাকিবের না থাকার কারণ ছিল ভিন্ন। কুঁচকির নতুন চোটে একাদশ থেকে ছিটকে যান তিনি। কিন্তু এবার ভারতের এক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য জাতীয় দল ছাড়ছেন সাকিব।
এদিকে প্রশ্ন উঠতেই পারে, সাকিবকে ছাড়া শক্তিশালী শ্রীলংকার বিপক্ষে পেরে উঠবে মুমিনুল বাহিনী! সদ্য হোম সিরিজের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জার হার হবে না তো!
সাকিবের অনুপস্থিতিতে দল অনেকটা নড়বড়ে হয়ে যায় তা উইন্ডিজ সিরিজে ব্যর্থতার পর অকপটেই স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবই সবচেয়ে বেশি আইপিএলে খেলেছেন। জাঁকজমকপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে সাকিব খেলেছেন মোট ৬৩টি ম্যাচ। ৪৬টি ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগ হয়েছে তার। ব্যাট হাতে করেছেন ৭৪৬ রান। স্ট্রাইকরেট ১২৬.৬৬। বল হাতে সাকিব ৬২ ইনিংসে শিকার করেছেন ৫৯টি উইকেট।