The news is by your side.

ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর

0 478

 

 

সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে মাদক মামলায় ১ বছর এবং ওয়াকিটকি মামলায় হাজী সেলিমপুত্রকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এই দুই মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পী মঙ্গলবার ও গত সোমবার ইরফানকে জামিন দেন।

এর আগে সোমবার ইরফান সেলিমকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় অব্যাহতি দিয়ে এবং তার দেহরক্ষীকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত পুলিশ রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ। ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর। এজাহার ও জব্দ তালিকায় ঘটনাস্থল ইরফানের শয়নকক্ষ উল্লেখ করা হলেও সেটি শয়নকক্ষ ছিল না। সেটি ছিল অতিথিকক্ষ। ইরফানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট ও মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করাসহ হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে কে বা কারা পিস্তলটি তার অতিথিকক্ষে রেখেছে। এ ছাড়া পিস্তলটি কার দেখানোমতে জব্দ করা হয়েছে তা এজাহার ও জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি।

মাদক মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও একই ধরনের তথ্য (অস্ত্র মামলার প্রতিবেদনেরমতো) উপস্থাপন করা হয়। মামলাটির ঘটনাস্থল ইরফানের শয়নকক্ষ উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে মাদকদ্রব্যগুলো তার অতিথিকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া বিদেশি মদ ও বিয়ার কার দেখানোমতে উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়টিও বাদী এজাহার ও জব্দ তালিকায় উল্লেখ করেননি।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। তিনি পরিচয় দিলেও আসামি গাড়ি থেকে নেমে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ওয়াসিফ আহমদ খান বাদি হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।  পরে ইরফানকে তার বাসা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় পরে রাজধানীর চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে চারটি মামলা দায়ের করে র‍্যাব। চার মামলাই তদন্ত করেন চকবাজার থানার পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.