গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনকে ‘বঙ্গভ্যাক’ নাম দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান এ তথ্য জানান।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের নাম ব্যানকোভিড। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গ্লোব বায়োটেক একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। প্রাণীদের ওপর প্রাথমিক পরীক্ষায় তাদের ভ্যাকসিন সফল হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এই রোগটির জন্য ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করতে শুরু করে গ্লোব বায়োটেক।
তখন আন্তর্জাতিকভাবে যেসব জেনোম সিকোয়েন্স ছিল, সেগুলো বিশ্লেষণ করে একটি বিশেষ ধরনের মিউটেশনের খোঁজ পান গ্লোব বায়োটেকের বিজ্ঞানীরা। এই মিউটেশনটি হলো D614G ।
তখন এই মিউটেশনের সংখ্যা খুবই কম ছিল বলে জানান গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ।
গ্লোব বায়োটেক বলছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে যতগুলো স্ট্রেইন আছে তার মধ্যে D614Gটি ১০ গুণ বেশি সংক্রামক এবং এর বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কেউ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট বানায়নি।
তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে এলএনপি ভিত্তিক D614G variant LNP-encapsulated mRNA ক্যান্ডিডেটটি। মূলত এটির প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে।
গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি এন্ড রেগুলেটরি অপারেশনের ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এই ভ্যাকসিনটির তিনটি ক্যান্ডিডেটের মধ্যে একটির প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি চলছে।
গ্লোব বায়োটেক জানায়, নিয়ম অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও অনুমোদনের বিষয়গুলো গ্লোব বায়োটেকের হাতে নেই বলে জানান তারা।
এই বিষয়গুলোর জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারা এটি দ্রুততম সময়ে অনুমোদন দিলে ছয় মাস সময়ে মধ্যে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন গ্লোব বায়োটেকের কর্মকর্তারা।