নেইমার, নিজের জন্য খেলেন, লাগামছাড়া জীবন যাপন করেন, দায়িত্ববোধ নেই মোটেও—গত ১০ বছরে কত অভিযোগই না উঠল নেইমারের বিরুদ্ধে। ১০ বছর ধরে এসব অভিযোগের সঙ্গে বসবাস করেই বিশ্বকে দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য, বুঝিয়েছেন নিজের মূল্য। বিশ্বজুড়ে বানিয়েছেন লাখো-কোটি ভক্ত। সেই ভক্তের তালিকায় এবার আরও একজনের নাম উঠল। তিনি আর কেউ নন, পিএসজিতে নেইমারের নতুন সতীর্থ, স্বদেশি মিডফিল্ডার রাফিনহা আলকানতারা।
নাহ, নেইমারকে রাফিনহা যে এই প্রথম চিনলেন, তেমনটা নয়; বার্সেলোনার বয়সভিত্তিক দলগুলোয় সামর্থ্যের প্রমাণ দেখিয়ে মূল দলে অভিষিক্ত হয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার। বড় ভাই থিয়াগো আলকানতারা যেখানে আরও বেশি সুযোগ পাওয়ার আশায় বায়ার্ন মিউনিখে নাম লিখিয়েছিলেন, রাফিনহা থেকে গেছেন বার্সাতেই। পরে যদিও সেল্টা ভিগো, ইন্টার মিলানের মতো ক্লাবগুলোয় খেলেছেন, তাও ধারে। বার্সায় যত দিন ছিলেন, নেইমারের সতীর্থ ছিলেন সেখানেও। রাফিনহা থাকতে থাকতেই নেইমার সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় এসেছেন, বিশ্বমানের তারকা হয়েছেন, আবার বার্সা ছেড়ে চলেও গেছেন। ফলে, নেইমারের উত্থানটা একদম চোখের সামনে থেকেই দেখেছেন রাফিনহা। দুজনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্ব। নেইমার কেমন ছিলেন তখন, বেশ ভালোই জানেন। সেই রাফিনহাই এখন পিএসজিতে যোগ দিয়ে নেইমারকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন। পরিবর্তিত এই নেইমারকে যে তিনি বার্সায় কখনো দেখেননি!
ফরাসি সংবাদমাধ্যম টেলিফুটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বন্ধুর সুনামই করেছেন রাফিনহা। বন্ধুকে আগের চেয়ে আরও পরিণত আরও পরিপক্ব দেখে ভালোই লাগছে তাঁর, ‘নেইমার বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ওর সঙ্গে খেলতে পারাটাও একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে ও এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত খেলোয়াড়। যে নেইমার তিন বছর আগে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে নাম লিখিয়েছিল, সে নেইমারের সঙ্গে এই নেইমারের মিল নেই মোটেও।’