করোনাকালে দর্শক খরা কাটাতে দেশের প্রেক্ষগৃহগুলোতে বলিউড ছবি দেখানোর প্রস্তাব করেছেন হল মালিকরা৷ তাদের যুক্তি– বলিউড সিনেমা চালালে দর্শক হলমুখী হবেন। তবে এই প্রস্তাবের ব্যাপক সমালোচনাও হচ্ছে।
সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলিউডের ১০ সিনেমার নাম দিয়েছেন বাংলাদেশ হল মালিক সমিতির নেতারা। এই ছবিগুলো দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন তারা।
তথ্যমন্ত্রী হল মালিক সমিতিকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব পেলে তা মন্ত্রণালয় বিবেচনায় নেবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে৷
সিনেমা হল মালিকরা জানান, হলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকাতে এমন পদক্ষেপের বিকল্প নেই৷ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এলে সিনেমা দেখানোর দিন, তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু গণমাধ্যমকে বলেন, কিছু দিন বলিউডের ছবি চালানোর জন্য আমরাও সম্মতি দিয়েছি৷ তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বলিউডের ১০ ছবি চালানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷ লিখিত প্রস্তাব দেয়ার পর মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী৷
এমন সম্মতি দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ১৬ অক্টোবর থেকে প্রেক্ষাগৃহগুলো খুলে দেয়া হলেও দর্শক আসছে না৷ বড় বাজেটের ৩৫টি ছবি অপেক্ষায় থাকলেও দর্শক না আসার কারণে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন না প্রযোজকরা৷ এ অবস্থায় প্রক্ষাগৃহগুলো চলবে কী করে?
একই ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশ হল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মতিঝিলের মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের। ‘সিনেমা হলগুলোকে বাঁচাতে এমন উদ্যোগের বিকল্প দেখছি না। আমি তো মনে করি এটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল; দেরি করে ফেলছি আমরা৷’
কোন ১০টি বলিউড ছবি দেখানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, এমন প্রশ্নে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, পুরনো হিন্দি ছবি দিয়ে হলে দর্শক আনা সম্ভব নয়৷ খুব বেশি হলে মাসখানেক আগে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি আনতে হবে৷