করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ফিরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম জনসমক্ষে হাজির হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে হোয়াইট হাউসের বারান্দা থেকে তিনি বক্তব্য দেন।
হোয়াইট হাউসের বারান্দা থেকে প্রায় ১৫ মিনিট বক্তব্য দেন ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের সমালোচনা করেন।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের নামে কৃষ্ণাঙ্গদের এবং হিস্পানিকদের দোকানপাট লুটতরাজ হচ্ছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এসব লুটতরাজকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বলে সমর্থন জানাচ্ছেন। বক্তব্যে ট্রাম্পকে কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিক ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করতে দেখা যায়।
করোনোভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমার প্রশাসন এই ভাইরাস মোকাবিলায় খুব ভালো কাজ করছে। দ্রুতই এই ভাইরাস উবে যাবে। ভ্যাকসিন চলে আসছে, অন্যান্য ওষুধও প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্পের থেকে অন্যরা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আর ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন কনলি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ট্রাম্পকে গত ২ অক্টোবর ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনদিন হাসপাতালে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত সোমবার তিনি হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ফেরেন।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার ভণ্ডুল হয়ে যায়। এরপর দেশব্যাপী পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প আরও পিছিয়ে পড়েছেন। তবে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে খারাপ সময়টাতে তিনি মরতে বসেছিলেন। এ মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ ১৪ হাজারের বেশি লোক মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮০ লাখ লোক। করোনা মহামারি ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনাকে সুদূরপরাহত করে তুলেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন সোমবার ফ্লোরিডার স্টানফোর্ডে ‘বিরাট জনসভায়’ ভাষণ দেবেন।