The news is by your side.

রোহিঙ্গা প্রশ্নে দোলাচলে দিল্লি

0 799

 

 

চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করা হয়েছিল, সে দেশে বসবাসকারী ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে মায়ানমার যাতে ফিরিয়ে নেয়, তার জন্য সক্রিয় দৌত্য করতে। অর্থাৎ, মায়ানমার সরকারকে এ ব্যাপারে চাপ দিতে। কিন্তু গত কাল বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন স্রিংলা ও মায়ানমারের বিদেশ সচিব ইউ সো হান-এর বৈঠকে বিষয়টি তুলতে দেখা গেল না নয়াদিল্লিকে।

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি নিয়ে দুই বিদেশ সচিবের কথা হয়েছে। জাপানের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতায় সেখানে ১৫টি স্কুল তৈরির কথাও হয়েছে। কিন্তু বৈঠকের পরে যে বিবৃতিটি নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের কক্সবাজারের শিবির থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘রাখাইন প্রদেশের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে কথা হয়েছে।’’

সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের (জেসিসি) বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবর্তনের গুরুত্বের দিকটি দুই মন্ত্রীই তুলে ধরেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বলেছিলেন, ঢাকা আশা করছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মায়নমারে ফেরানোর প্রশ্নে অর্থপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.