রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর দেশে পেঁয়াজের অস্থির বাজার সুস্থির করতে নিত্যপণ্যটির আমদানি ঋণপত্র খোলার (এলসি) ক্ষেত্রে মার্জিন বা নগদ জমার হার ‘ন্যূনতম পর্যায়ে’ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো ন্যূনতম টাকা জমা রেখে ঋণপত্র খুলতে পারবে।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এ সার্কুলারে বলা হয়েছে, পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সুদের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য ৩০ মে পর্যন্ত যে নির্দেশনা ছিল এর সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। এই নির্দেশনা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও এ নিত্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য পেঁয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ন্যূনতম টাকা জমা রেখে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে ব্যাংকগুলো ন্যূনতম টাকা জমা রেখে ঋণপত্র খুলতে পারবে।
এর আগে গত বছর পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে একই রকম নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দাম বাড়তে থাকায় গত বছরের ২ অক্টোবর এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনার মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। যদিও পেঁয়াজের দামে এর কোনো প্রভাব তখন দেখা যায়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ৫০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৩০০ টাকায় উঠেছিল।