চট্টগ্রামের মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট কওমি মাদ্রাসাসমূহের কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কতিপয় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করা হয়।
কিন্তু আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাটি পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্দেশক্রমে বন্ধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দাবিতে বুধবার থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করছে ছাত্ররা।
এ সময় মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ বিভিন্ন শিক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এই বিক্ষোভের মধ্যে আহমদ শফী মাদ্রাসায় তার অফিসে ছিলেন বলে জানা গেছে।
হাটহাজারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, দুই পক্ষে দ্বন্দ্বের জেরে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আবাসিক এই মাদ্রাসায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
এর আগে বুধবার রাতে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানীকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও লাঠি হাতে পুরো মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার সব গেট তালাবদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি সহকারী পরিচালক মাওলানা শেখ আহমদ, মুফতি জসিম ও মাওলানা ওমরের রুমে ভাঙচুর চালানো হয়।
হাটহাজারী মাদ্রাসার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক ভিডিওতে মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফীর কক্ষেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মাদ্রাসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষার্থীরাও তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।