বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ দণ্ডাদেশ শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় খালেদা জিয়া ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন কিন্তু বিদেশ যেতে পারবেন না। খালেদা জিয়ার আরও ৬ মাস মুক্তির ক্ষেত্রে আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল। কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আবেদনে অনুমোদন দেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। শর্ত হচ্ছে-খালেদা জিয়া এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না। বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। করোনাভাইরাসের কারণে গত ছয় মাস খালেদা জিয়ার পরিবার তার কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই বিবেচনায় তার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। যার মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। আজ প্রধানমন্ত্রী এই আবেদন অনুমোদন দেয়ায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য মুক্ত জীবন যাপন করবেন খালেদা জিয়া।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপাসন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। পরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। যার মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তার আগে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার তার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ালো।